সিপ্লাস ডেস্ক: টানা পাঁচ ম্যাচ হারের পর অবশেষে জয়ের মুখ দেখলো ইংল্যান্ড। অল ইউরোপিয়ান ব্যাটেলে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আশা বাঁচিয়ে রাখলো ইংলিশরা।
৩৪০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৩৭.২ ওভারে মাত্র ১৭৯ রানেই অলআউট হয়ে যায় নেদারল্যান্ডস। ১৬০ রানের বড় জয়ে টেবিলের তলানি থেকে সাত নম্বরে উঠে আসলো জস বাটলারের দল।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই বারেসির জীবন ফিরে পান জো রুটের ক্যাচ মিস হওয়ায়। তবে ব্রেকথ্রু পেতে ইংলিশদের বেশি দেরি হয়নি। ইনিংসের ৫ম ওভারে ক্রিস ওকসের ৫ রান করে আউট হন ম্যাক্স ডি’অড। এর ঠিক পরের ওভারেই শূন্য রান করে উইলির বলে আউট হন অ্যাকারম্যান।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে বারেসি ও এঙ্গেলব্রেখট ৫৪ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেন। কিন্তু তাদের জুটি ভাঙে মঈন আলীর ১৮তম ওভারে। ক্রিস ওকসের দারুণ থ্রোতে মঈন স্ট্যাম্প ভেঙে দিলে রানআউটের শিকার হন বারেসি।
এঙ্গেলব্রেখটও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৩৩ রান করে উইলির বলে আউট হন তিনি। ছয়ে নেমে বাস ডি লিড ১০ রান করে আউট হলে ১০০ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় তারা।
ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে অধিনায়ক এডওয়ার্ডস ও নিধামানুরু ৫৯ রানের জুটি গড়ে দলকে সম্মানজনক পরাজয়ের দিকে নিয়ে যান। এডওয়ার্ডসকে মঈন আলী আউট করলে আর বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি ডাচদের ইনিংস।
শেষদিকে আদিল রশিদ ও মঈন আলির ঘূর্ণি জাদুতে মাত্র ১৭৯ রানেই অলআউট হয় ডাচরা।
নিদামানুরু সর্বোচ্চ ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন। ইংলিশদের হয়ে মঈন আলি ও আদিল রশিদ ৩টি করে উইকেট নেন।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে দুইশর আগেই (১৯২ রানে) ৬ উইকেট হারিয়ে বসেছিল ইংল্যান্ড। মনে হচ্ছিল, আড়াইশ করাও কঠিন হয়ে যাবে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের।
এমন জায়গায় দাঁড়িয়ে বেন স্টোকস হাঁকালেন লড়াকু এক সেঞ্চুরি। তার এই সেঞ্চুরিতে ভর করে ৯ উইকেটে ৩৩৯ রানের বিশাল পুঁজিই দাঁড় করায় ইংলিশরা।
পুনেতে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং বেছে নেন ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলার। দলীয় ৪৮ রানে জনি বেয়ারস্টো (১৭ বলে ১৫) ফিরলেও একটা সময় ১ উইকেটে ১৩৩ রান ছিল ইংল্যান্ডের বোর্ডে।
সেখান থেকে দারুণভাবে লড়াইয়ে ফেরে ডাচরা। ৭৪ বলে ৮৭ করে ওপেনার ডেভিড মালান রানআউটের ফাঁদে পড়ার পর দ্রুত আরও কয়েকটি উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে ইংলিশরা।
১৯২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলা দলকে এরপর টেনে তোলার দায়িত্ব নেন স্টোকস। সপ্তম উইকেটে ক্রিস ওকসকে নিয়ে ৮১ বলে ১২৯ রানের ঝোড়ো জুটি গড়েন এই অলরাউন্ডার।
৪৫ বলে গুরুত্বপূর্ণ ৫১ রান করেন ওকস। ইনিংসের দুই বল বাকি থাকতে আউট হন স্টোকস। ৮৪ বলে তার ১০৮ রানের মারকুটে ইনিংসে ছিল ৬টি করে চার-ছক্কার মার।