ফটিকছড়ির সেবা ক্লিনিকে গর্ভজাত সন্তানসহ প্রসূতির মৃত্যু

ফটিকছড়ির সেবা ক্লিনিকে গর্ভজাত সন্তানসহ প্রসূতির মৃত্যু

সিপ্লাস ডেস্ক: চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির বিবিরহাট এলাকায় সেবা ক্লিনিকে গর্ভজাত সন্তানসহ এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। ভুল চিকিৎসায় ওই প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগে ক্লিনিক ভাঙচুর করেছেন রোগীর স্বজন ও স্থানীয়রা।

আজ মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। রাত ১০টায় এই প্রতিবেদন লেখার সময় ঘটনাস্থলে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছিল।

মৃত প্রসূতির নাম জান্নাতুল মাওয়া (২৫)। তিনি ফটিকছড়ি থানার কাঞ্চননগর এলাকার মরহুম মোতালেব মেম্বারের বাড়ির মো. রুমন উদ্দিনের স্ত্রী।

রোগীর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ফটিকছড়ির কাপড় ব্যবসায়ী রুমনের স্ত্রী জান্নাতুল মাওয়ার প্রসববেদনা উঠলে তাকে আজ ওই ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। অস্ত্রোপচার কক্ষে ওই প্রসূতিকে এনেসথেসিয়া দেয়ার সময় তিনি মারা যান।

স্বজনদের অভিযোগ, কাঞ্চননগরের পুকুর পাড়ার বাসিন্দা ওই প্রসূতিকে ভুলভাবে তিনবার এনেসথেসিয়া দেওয়া হয়। যার কারণে মৃত্যু হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, জান্নাতুল মাওয়ার মৃত্যুর খবরে তার স্বজন ও এলাকাবাসী রাত ৮টার পর ক্লিনিকে গিয়ে ভাঙচুর শুরু করেন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

জান্নাতুল মাওয়ার স্বামী রুমনের অভিযোগ, ভুল চিকিৎসা হয়েছে। এনেসথেসিয়া সঠিকভাবে দেওয়া হয়নি। ডাক্তারের ভুলের কারণেই তার স্ত্রী মারা গেছেন।স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, বেসরকারি ক্লিনিকটি কয়েক বছর ধরে চললেও সেখানে সার্বক্ষণিক কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকেন না। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নার্সও নেই। অস্ত্রোপচারকক্ষের অবস্থা একেবারেই শোচনীয়।

অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে সেবা ক্লিনিকের ব্যবস্থাপক স্বপন কুমার দত্তকে ফোন করা হলে তিনি ধরেননি। এছাড়া ক্লিনিকে চিকিৎসক কাউকে পাওয়া যায়নি। এ কারণে কারও বক্তব্যও নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এদিকে ঘটনাস্থলে গিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাব্বির রাহ্‌মান সানি। এই বিষয়ে বক্তব্য জানতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

জানতে চাইলে ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ বিন আনোয়ার বলেন, ‘একজন প্রসূতি রোগীর মৃত্যু হয়েছে ফটিকছড়ি সেবা ক্লিনিক অ্যান্ড ল্যাব ইনে। এতে রোগীর স্বজনরা ক্ষিপ্ত হয়ে ক্লিনিক ভাঙচুর করেছে। তবে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়স্ত্রণে আসে। ওই ক্লিনিকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।’

Scroll to Top