চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : ১৮ হাজার ভােটর ব্যবধানে সাবেক উত্তর জেলা ছাত্রলীগ নেতা বখতিয়ার সাঈদ ইরানকে হারিয়ে ফটিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নাজিমুদ্দিন মুহুরী।
নির্বাচনে নাজিমুদ্দিন মুহুরী মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৫৯ হাজার ১৬৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বখতিয়ার সাঈদ (ইরান) আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৪১ হাজার ৭৬৭ ভোট। দুইজনের মধ্যে ব্যবধান ১৭ হাজার ৯৯৮ ভোট। এ উপজেলায় মোট ২২ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়।
মঙ্গলবার রাতে ফটিকছড়ি উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ইউএনও মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক চৌধুরী ফলাফল ঘোষণাসহ এসব তথ্য জানান।
উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনে ১৪২ টি কেন্দ্রে মোট ভোটার রয়েছে ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৬০৭ জন। তন্মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছে ২ লাখ ৪৫ হাজার ৯৩৮ জন এবং মহিলা ভোটার রয়েছে ২ লাখ ১৮ হাজার ৬৬৭ জন। মোয় ১ হাজার ২টি বুথ রয়েছে। সর্বমোট ভোট সংগ্রহ হয়েছে।
এবার উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না থাকায় নাজিমুদ্দিন মুহুরী মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বখতিয়ার সাঈদ (ইরান)। তাতেই বাধে দলের মাঝে বিপত্তি , গ্রুপ ভিত্তিক ২জনের জন্য কাজ করেন দলীয় নেতারা আলাদা আলাদাভাবে। শেষ পর্যন্ত লড়াই করলেন এবং ইরানকে হারিয়ে জয় তুলে নিলেন নাজিম।
বিজয় ঘোষণার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে নাজিমুদ্দিন মুহুরী বলেন, ‘জনগণের মনোনীত প্রার্থী হিসাবে আমাকে তারা ভোট দিয়ে চেয়ারম্যান বানিয়েছেন। যদি বেঁচে থাকি, পাঁচটি বছর মানুষের ভালোবাসা নিয়ে ফটিকছড়ি উপজেলাকে স্মার্ট উপজেলা গঠন করতে চাই।’
এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা ফটিকছড়ি পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: জসিম উদ্দিন টিউবওয়েল প্রতীকে ৩২ হাজার ৮৮৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এড.সালামত উল্লাহ চৌধুরী পেয়েছেন ২৯ হাজার ৮৬৭ ভোট। এছাড়া তালা প্রতীকে সৈয়দ জাহেদ উল্লাহ কৌরাইশী পেয়েছেন ২০ হাজার ৩৭৯ ভোট এবং মো: নাজিম উদ্দিন সিদ্দিকী চশমা প্রতীকে পেয়েছে ১২ হাজার ১১ ভোট।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মহিলা নেত্রী শারমীন আক্তার নুপুর ৫৪ হাজার ৮৫৮ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান জেবুন্নাহার মুক্তা পেয়েছেন ৪১ হাজার ৭৫ ভোট।
এর আগে, মঙ্গলবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। নির্বাচন ঘিরে কিছু ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটলে আহত বা কেউ গ্রেফতার নেই। কয়েকজনকে ছোট কিছু কারণে আটকের পর মুচলেকা নিয়ে ছাড়া হয়েছে বলেও জানান ইউএনও।
এবার ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাচনে ১৪২ টি ভোটকেন্দ্র ১ হাজার ২টি বুথে ভোট গ্রহণ করা হয়।
ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় পুরো উপজেলায় পুলিশ সদস্য ছিল ৭৬৯ জন, আনসার সদস্য ছিল ২ হাজার ৩৬ জন, র্যাব সদস্য ছিলো ২০ জন, বিজিবি ছিলো ১১০ জন এবং ব্যাটেলিয়ন আনসার ১০জন। প্রতি কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ছিলো ১৭-১৮ জন করে। প্রিজাইডিং অফিসার মোট ১৪২ জন, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ১ হাজার ২জন এবং পোলিং অফিসার ছিলো ২ হাজার ৪ জন। ১৪২ টি কেন্দ্রই ছিল প্রশাসনের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
চাটগাঁ নিউজ/এসআইএস