সিপ্লাস ডেস্ক: কর্ণফুলী টানেলের পর এবার আরেক স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজারবাসীর। ১৮ হাজার ৩শ’ কোটি টাকায় তৈরি ১০০ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথ এখন সম্পূর্ণ প্রস্তুত। আগামী ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে চালু হবে স্বপ্নের এই রেলযাত্রা।
এই রেলপথে বণ্যপ্রাণীর অবাধ চলাচলের জন্য নির্মিত হয়েছে ‘এলিফ্যান্ট ওভারপাস’। যার ফলে ট্রেন চলবে নিচ দিয়ে, আর উপর দিয়ে হাতি চলাচল করবে। দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১শ’ কিলোমিটার দীর্ঘ রেললাইনের এই প্রকল্পে অন্যতম চ্যালেঞ্জ ছিল চুনতি অভয়ারণ্যসহ তিনটি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ভেতর দিয়ে রেলপথ নির্মাণ। পরিবেশ সুরক্ষা এবং বন্যপাণীর অবাধ চলাচলের বিষয়টি মাথায় রেখে সেখানের বনাঞ্চলে নির্মিত হয়েছে এলিফ্যান্ট ওভারপাস, যা এশিয়া মহাদেশে প্রথম। এছাড়া আবাসিক সুবিধাসহ ৯টি স্টেশন, ছোট-বড় ৫১টি সেতু, ২০১টি কালভার্টসহ প্রকল্পের প্রায় সব কাজ শেষ।
ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান গোলাম এম আলমগীর বলেন, ব্রিজ, নদী, খালসহ আরও বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে আমরা আমাদের দায়িত্ব ভালোভাবে সম্পন্ন করেছি।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের পরিচালক সবুক্তগীন বলেছেন, কাজ একেবারেই শেষ পর্যায়ে, এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায় আমরা।
উদ্বোধনের পর প্রথমে চট্টগ্রাম, পরে ঢাকা থেকে চালু হবে ট্রেন চলাচল। শুরুতে ৮০ কিলোমিটার বেগে চললেও পরবর্তীতে গতি বাড়ানো হবে বলে জানা গেছে। তখন চট্টগ্রাম থেকে ২ ঘণ্টায় পৌঁছা যাবে কক্সবাজারে।
২০১০ সালেও অনুমোদন পেলেও নানা জটিলতায় প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে। ১৮ হাজার ৩৪ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পে দ্বিতীয় ধাপে কক্সবাজার থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত নির্মিত হবে আরও ২৮ কিলোমিটার রেলপথ, যা বাংলাদেশকে যুক্ত করবে ট্রান্স এশিয়ান নেটওয়ার্কের সাথে।