প্রশিক্ষণে গিয়ে সেনা সদস্য তৌহিদের মৃত্যু

Facebook
WhatsApp
Twitter
Print

সেলিম উদ্দীন, ঈদগাঁও প্রতিনিধি:  খুলনা জাহানাবাদ সেনানিবাসে সাঁতার প্রশিক্ষণে গিয়ে অসুস্থ হয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্য তৌহিদুল ইসলাম (২০) মারা গেছে। এ ঘটনায় গতকাল থেকে তার পরিবারে চলছে শোকের মাতম। তার মা’র আহাজারিতে আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে।

গত রবিবার (১৮ জুন) সকাল ১১ টায় ঐ এলাকায় সাঁতার প্রশিক্ষণে পানিতে ডুবে তৌহিদ মৃত্যুবরণ করেন। খুলনা জাহানাবাদ সেনানিবাসে সোমবার দুপুরে  প্রথম নামাজে জানাযা শেষে বর্তমানে তার লাশ নিয়ে গ্রামের বাড়ীর পথে রওয়ানা দিয়েছে পরিবারের সদস্যরা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে তৌহিদের ছোট চাচা জজ আবদুল্লাহ খাঁন বলেন, আগামীকাল মঙ্গলবার  সকাল ৯ টার সময় তৌহিদের নামাজে জানাযা শিয়াপাড়া জামে মসজিদ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। তিনি তার আত্মার মাগফিরাত কামনায় সকলের নিকট দোয়া চেয়েছেন।

তৌহিদুল ইসলাম কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড দক্ষিণ ফুলছড়ি শিয়াপাড়া গ্রামের আবদুল হালিমের বড় পুত্র ও মরহুম হাজী ইউসুফ আলীর নাতী। সে কিশলয় আদর্শ শিক্ষা নিকেতন’র ২০১৯ ব্যাচের প্রাক্তণ ছাত্র।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, অত্যন্ত আমায়িক নম্রভদ্র ছেলে তৌহিদ। প্রশিক্ষণের জন্য সে খুলনা জাহানাবাদ সেনানিবাসে ছিলেন। সেখানে সাঁতার কাটতে গিয়ে পানিতে ডুবে ( স্ট্রোক)  অসুস্থ হওয়ায় তাকে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

তারা আরো জানায়, তৌহিদ গত ২৫ এপ্রিল ছুটি শেষে চাকরিতে ফেরার সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দেন। সে লিখেছে ” বিদায় এর ঘন্টা বাজিয়ে গেল। সবার কাছে দোয়ার দরখাস্ত রইল। ট্রেনিং শেষ করে যেন আবার সবার কাছে ফেরত আসতে পারি”। বিষয়টি তৌহিদ মারা যাবার পর সবার নজর কাড়ে এবং ফেসবুকে ভাইরাল হয়।

স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার নুরুল আজিম বলেন, তৌহিদের লাশ গ্রামে নিয়ে আসা হচ্ছে। খুলনায় প্রশিক্ষণে গেলে  সে অসুস্থ হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যান। তবে ঠিক কবে সে মারা গেছেন, তা আমার জানা নেই।

খুটাখালী ইউপি চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আবদুর রহমান বলেন, সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তৌহিদের মৃত্যুর বিষয়টি তার পরিবারকে জানানো হয়। এ্যামবুলেন্সে মৃতদেহ আনা হচ্ছে। আমি তার শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।

Scroll to Top