সিপ্লাস ডেস্ক: গত সপ্তাহেই ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে কিনতে হয়েছিল পেঁয়াজ। তবে আমদানি করা পেঁয়াজ বাজারে আসায় চড়া পেঁয়াজের বাজার নিম্নমুখী। বর্তমানে ভারতীয় পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। আর দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭৫ টাকায়। এতে স্বস্তি ফিরছে ক্রেতাদের মাঝে।
এছাড়া গত সপ্তাহেও ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ২০০-২১০ টাকা কেজি। যা আজ বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা কমে ১৮০-১৯০ টাকায়। ব্রয়লারের সঙ্গে সোনালি মুরগির দামও কমেছে। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিলো ৩১০ টাকা। আবার বেশির ভাগ সবজির দামও কমেছে। তবে বাজার চড়া রয়েছে মাছের।
শুক্রবার (৯ জুন) রাজধানীর কাওরানবাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গিয়েছে।
কাওরানবাজারে বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী রাশেদুল হাসান বলেন, ‘গত সপ্তাহে যে পেঁয়াজ কিনেছি ১০০ টাকা কেজি আজ সেটা ৭৫ টাকায় কিনলাম। বাজার কিছুটা শান্ত। এছাড়া মুরগি, সবজির দামও কিছুটা কমেছে। তবে মাছের বাজার আজ বেশ চড়া। তাই সবজিতে সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে।’
কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশির ভাগ সবজির দাম ২০-৩০ টাকা কমেছে। বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকা, পেঁপে ৬০ টাকা, করলা ৭৫ টাকা, বরবটি বিক্রি হচ্ছে কেজি ৬৫ টাকা, প্রতি কেজি পটল ৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, ঝিঙে ৭০ টাকা, টমেটো কেজি ৬০ টাকা, মুলা ৫০ টাকা, শসা ৭০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া (পিস) ৫০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ৮০ টাকা, কচুর লতি ৭০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। আলু কেজি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তবে মাছের বাজার চড়া। কারওয়ান বাজারে সব ধরনের মাছের দাম গত সপ্তাহের চেয়ে ৫০-১০০ টাকা কেজিতে বেড়েছে। বাজারে বাগদা চিংড়ি ১ হাজার ১০০ টাকা, গলদা চিংড়ি ১২০০ টাকা, চিংড়ি মাঝারি ১৪০০ টাকা, প্রতি কেজি পাবদা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকা, শিং মাছ বিক্রি হচ্ছে কেজি ৭৫০ টাকা, টেংরা মাছ বিক্রি হচ্ছে মাঝারি ৪৫০ টাকা, বোয়াল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা, পাঙাস মাছ বিক্রি হচ্ছে ৪৬০ টাকা, চাষের কই প্রতি কেজি ৮৫০ টাকা, দেশি কই ৭২০ টাকা, তেলাপিয়া বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকা, রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৪৩০ টাকা, কাতল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছ কিনতে আসা সাইফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রতি সপ্তাহে দেখবেন কিছু না কিছুর দাম বাড়ে। গত সপ্তাহে পেঁয়াজের বাজার ছিলো বেশ চড়া। সেটার দাম কমলেও আজ মাছের বাজার চড়া। তবে সবজির দাম কমেছে। আবার মুরগির দামও কমেছে। তাই অন্যটাতে খুশি থাকতে হবে। আমরা যারা বেসরকারি কাজ করি আমাদের বেতন বাড়ে না। আমরা কোনোভাবে টিকে থাকার চেষ্টা করি, তাইই করে যাচ্ছি।’