পাঁচ হাজার টাকা ভাতা বৃদ্ধিতে অসন্তুষ্ট চিকিৎসক ও সারজিস আলম

চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: মাসিক ভাতা ৫০ হাজার টাকা বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন করা পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকদের মাসিক ভাতা ৫ হাজার টাকা বাড়িয়ে ৩০ হাজার করা হয়েছে। তবে সরকারের এই সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট নন চিকিৎসকরা। এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছেন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসকরা। তাদের সাথে সহমত পোষণ করেছেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলমও।

অবৈতনিক প্রশিক্ষণার্থীদের পারিতোষিক ভাতার হার বাড়িয়ে সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করে অর্থবিভাগ। সেখানে বলা হয়, বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসের (বিসিপিএস) এফসিপিএস প্রথম পর্ব পাস করা অবৈতনিক প্রশিক্ষণার্থীদের বিদ্যমান মাসিক পারিতোষিক ভাতার হার বিদ্যমান ২৫ হাজার টাকা হতে ২০ শতাংশ বৃদ্ধি করে ৩০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হলো। যা আদেশ জারির তারিখ থেকে প্রযোজ্য হবে।

অর্থ বিভাগের এই প্রজ্ঞাপন প্রত্যাখ্যান করে ট্রেইনি চিকিৎসকরা বলছেন, আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে ভাতা ৫০ হাজার টাকা করতে হবে। তা না করা হলে আগামী রবিবার শাহবাগে মহাসমাবেশ করার পাশাপাশি অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের প্ল্যাটফর্ম ‘ডক্টরস মুভমেন্ট ফর জাস্টিসের’ এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডাক্তারদের সঙ্গে ওয়াদা বরখেলাপ করা নতুন কিছু না। কিন্তু এই নতুন বাংলাদেশে আর কোনও বৈষম্য মেনে নেওয়া হবে না।’

‘নবম গ্রেড সমপরিমাণ ভাতা দেওয়ার অঙ্গীকার করে ৩০ হাজারের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাখ্যান’ করার কথা বলা হয় বিবৃতিতে।

একই সঙ্গে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করার কথা জানিয়েছেন সারজিস আলমও। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক ফেসবুক পোস্টে জানান, দেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি ডাক্তারদের ভাতা মাত্র ৩০ হাজার টাকা কখনোই যৌক্তিক হতে পারে না। এটা অন্তত ৪০ হাজার অথবা ৯ম গ্রেড সমমান হওয়া উচিত। কোথায় কখন কতটুকু ইনভেস্ট করতে হবে, সেটা যতদিন আমরা না বুঝবো ততদিন দেশের প্রত্যাশিত উন্নতি সম্ভব না। এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করছি।

প্রসঙ্গত, ভাতা বাড়ানোর দাবিতে রবিবার প্রথমে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান নেন চিকিৎসকরা। দুপুরের পর শাহবাগে সড়ক অবরোধ করেন তারা। এরপর বিকালে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা সারজিস আলম আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে রাস্তা ছাড়েন চিকিৎসকরা।

চাটগাঁ নিউজ/ইউডি  

Scroll to Top