চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৬ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন নাজমুল হাসান পাপন। বৃহস্পতিবার যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। ওদিকে বিসিবি সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। তবে পাপন জানিয়েছেন, যত দ্রুত সম্ভব তিনি বিসিবির দায়িত্ব ছেড়ে দিতে চান।
বিসিবি সভাপতি হিসেবে আগামী বছরের আগস্ট পর্যন্ত মেয়াদ আছে পাপনের। তবে তিনি জানিয়েছেন, চেষ্টা করবেন চলতি বছরই দায়িত্ব থেকে যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে সরে যাওয়ার। যদিও মন্ত্রীত্বের সঙ্গে বিসিবির দায়িত্ব পালনে আইসিসি বা দেশের আইনে কোন বাধা নেই। তারপরও বিসিবি ছাড়তে চাওয়ার কারণ হিসেবে স্বার্থদ্বন্দ্বের কথা বলেছেন তিনি।
শুক্রবার সংবাদ মাধ্যমকে পাপন বলেন, ‘(দুই দায়িত্ব পালনে) আইনে কোন বাধা নেই। তবে একসঙ্গে যদি দুটি দায়িত্ব পালন করি, অনেকে ধারণা করতে পারেন ক্রিকেটে নজর বেশি দিচ্ছি। এই ধারণা অস্বাভাবিক না। সরে গেলে তাই ভালো হবে। তাতে ওই সন্দেহটা থাকবে না। কারণ আমি প্রায়োরিটির ভিত্তিতে সবগুলোকে গুরুত্ব দিতে চাই।’
বিসিবি সভাপতি পাপন জানিয়েছেন, দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে তিনি তাড়াহুড়ো করতে চান না। তাতে করে বাংলাদেশ ক্রিকেটের ক্ষতি হতে পারে। কারণ আইসিসির অনেকগুলো নিয়ম ও প্রক্রিয়া আছে। সেজন্য বিসিবি সভাপতি পাপন যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সরে যেতে চান।
তিনি বলেন, ‘ইচ্ছে করলেই দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া যায় না। আইসিসি চায় নির্বাচিত বোর্ডের মেয়াদটা শেষ হোক। আর একটা অপশন হচ্ছে, দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে আইসিসির সঙ্গে আলোচনা করা। এছাড়া আইসিসির চলতি কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া যেতে পারে।’
তিনি যদি কোন কারণে পদত্যাগ করেন তাহলে নতুন কারো বিসিবি সভাপতি হওয়ার সুযোগ নেই বলেও মন্তব্য করেছেন পাপন। সেক্ষেত্রে বর্তমান যারা বোর্ড পরিচালক আছেন তাদের মধ্যে থেকে কেউ একজন বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব পাবেন বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
চাটগাঁ নিউজ/এমআর