“নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার জন্য বিএনপির সমর্থকরাও কেন্দ্রে যাবে”

রাঙ্গুনিয়ার রাণীরহাটে নির্বাচনী জনসভায় তথ্যমন্ত্রী

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি:  তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, “বিএনপি ভোট বর্জনের কথা বলে। কিন্তু সারাদেশে নির্বাচনী আমেজ সৃষ্টি হয়েছে। এই আমেজ আর দেশের চলমান উন্নয়ন দেখে এখন বিএনপির অনেক সমর্থকরাও আমাদের মিছিলের পিছনে পিছনে হাটে। নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার জন্য বিএনপির সমর্থকরাও কেন্দ্রে যাবে।”

তিনি বলেন, “২০০৮ সালে ভোটের ক্যাম্পেইন করার সময় পেন্ট বটে, মোটরসাইকেলে চড়ে, খাল পেরিয়ে, কাঁদা মাড়িয়ে অনেক কষ্টে যেতে হতো। আর এখন সেই অবস্থা নেই। এখন এভাবে আর যেতে হয় না। রাঙ্গুনিয়াসহ সারাদেশে যোগাযোগের অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে। এসব এমনি এমনি হয়নি। এসব সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার যাদুকরী নেতৃত্বের কারণে। এই উন্নয়ন হয়েছে আওয়ামী লীগের কারণে, নৌকা মার্কার কারণে। এখন গাড়ি চড়ে অনায়াসে যেকোনো জায়গায় যাওয়া যায়।”

মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) বিকালে চট্টগ্রাম-৭ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ রাঙ্গুনিয়ার রাণীরহাট বাজার চত্বরে নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। উপজেলার রাজানগর ও ইসলামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যৌথ আয়োজনে জনসভায় সভাপতিত্ব করেন রাজানগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু ছৈয়দ তালুকদার।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আপনারা ২০০৮ সালে যখন আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছিলেন তখন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম রাঙ্গুনিয়ার উন্নয়ন হবে। আমি দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়ার শেষ প্রান্তের ছেলে। অনেকে বলেছিলো উন্নয়ন সব ওইদিকেই হবে। কিন্তু নির্বাচিত হয়ে প্রথমেই মরিয়মনগর থেকে রাণীরহাট পর্যন্ত ডিসি সড়কের উন্নয়ন কাজ করেছি। বগাবিলি ব্রীজ প্রথমেই হয়েছে। এখানে বড় বড় বিএনপি নেতারা ছিলো, এখনো আছে। তাদের বাড়ির সামনের রাস্তা প্রথমেই পাকা হয়েছে। এরপর দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়ার উন্নয়ন করেছি। অথচ আমার বাড়ির সামনের রাস্তাটাও এখনো ২০ বছর আগের মতোই রয়ে গেছে। ১৫ বছর আগে কাপ্তাই সড়ক আর এই রাঙামাটি সড়ক ছাড়া আর একটিও কার্পেটিং করা ছিলো না। আর এখন কোন রাস্তা কার্পেটিং করা নেই, সেটিই খুজে দেখতে হবে। এমন কোন স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দিরসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নেই, যেখানে বরাদ্দ পাইনি। প্রত্যেক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় নতুন নতুন বিল্ডিং হয়েছে। কেউ দুইবারও পেয়েছে। এভাবে উন্নয়ন হওয়াতে আমরা এখন ফরোয়ার্ড হয়ে গেছি, ছেলেমেয়েদের বেশভূষাও পরিবর্তন হয়ে গেছে। সাধারণ মানুষের জীবনযাপন ও কর্নকান্ডও পরিবর্তন হয়ে গেছে।”

ভোটারদের উদ্দেশ্যে সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান বলেন, “গত ১৫টি বছর আইল্যের মতো খেটে চেষ্টা করেছি আপনাদের সেবা করার। সবার উপকার করার চেষ্টা করেছি। কখনো দল বিবেচনা করিনি। এখন আপনাদের দুয়ারে হাজির হয়েছি, আপনারাও আমাকে আগামী ৭ তারিখ একটা দিন সময় দিয়ে কেন্দ্রে যাবেন এবং নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন, এটাই আপনাদের প্রতি আমার ফরিয়াদ।”

উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন চৌধুরী মিল্টনের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন উত্তরজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মো. শাহজাহান সিকদার, কামরুল ইসলাম চৌধুরী, নজরুল ইসলাম তালুকদার, উত্তরজেলা কৃষক লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা ডা. ফয়সাল ইকবাল, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, বৃহত্তর রাজানগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী নুরুল আজিম চেয়ারম্যান, মোরশেদ মাহমুদ, কামাল উদ্দিন চৌধুরী, সিরাজ উদ্দিন চৌধুরী, জামাল উদ্দিন মোস্তফা জাহাঙ্গীর, ইউসুফ মাতব্বর, ছাদেকুন নূর চৌধুরী টিপু প্রমুখ।

Scroll to Top