চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: নাশকতা নয়, চট্টগ্রাম বন্দরে দুই জাহাজে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় অদক্ষতা এবং অবহেলাকেই দায়ী করেছেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান।
তিনি ১৯ নভেম্বর (মঙ্গলবার) সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব বিষয় তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর জলসীমার চ্যানেলে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ও ৫ অক্টোবরে পরপর বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের জাহাজ বাংলার জ্যোতি, বাংলার সৌরভ এবং বিদেশী পতাকাবাহী ২টি জাহাজে অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হয়।
চট্টগ্রাম বন্দরের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের ত্বরিৎ পদক্ষেপে টাগ কান্ডারী ও অন্যান্য সংস্থার জাহাজের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এতে করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সংক্ষিপ্ত করা সম্ভবপর হয়েছে। এছাড়া, দ্রুততার সাথে অগ্নি নির্বাপনে এগিয়ে আসার ফলে চ্যানেলে সম্ভাব্য প্রতিবন্ধকতাও নিরসন করা সম্ভব হয়েছে। এধরণের দূর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান এবং ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের লক্ষ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, জ্বালানি মন্ত্রণালয় এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
উল্লিখিত দূর্ঘটনাসমূহের কারণ হিসাবে Operational Failure এবং Safety Management Failure মর্মে প্রতীয়মান। কমিটি কর্তৃক দূর্ঘটনার কারণ পর্যালোচনা ও প্রদত্ত সুপারিশ মোতাবেক চট্টগ্রাম বন্দরের সার্বিক নিরাপত্তা এবং এ ধরণের অগ্নি দূর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
চট্টগ্রাম বন্দরের বহিঃনোঙ্গরে অবস্থানরত জাহাজের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য ১২৮ জন ওয়াচম্যান নিবন্ধন করার লক্ষ্যে প্রার্থীদের শারীরিক বাছাই কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। বন্দরের অভ্যন্তরে গাড়ি প্রবেশের ক্ষেত্রে ইনেটপাস ও ডিজিটাল পেমেন্ট বাস্তবায়ন করা হয়েছে। কেপিআই নিরাপত্তা নীতিমালা অনুযায়ী চট্টগ্রাম বন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করার লক্ষ্যে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের এক্সেস কন্ট্রোল সিস্টেম নতুনভাবে আধুনিকায়ন করার পাশাপাশি পেপারলেস ডেলিভারীর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরের বহিঃনোঙ্গরে অবস্থানরত জাহাজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরের বহিঃনোঙ্গরে অবস্থানরত জাহাজের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য পণ্য সরবরাহকারী লাইফ বোটগুলোতে নির্দিষ্ট (হলুদ) রং করাসহ এআইএস এবং ট্র্যাকিং সিস্টেম সংযোগ করার লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। জেটি অভ্যন্তরে চলাচলকারী অনিবন্ধিত গাড়িসমূহ নিবন্ধনের আওতায় এসেছে। বন্দর এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা জোরদার করা হয়েছে। এতে বন্দরের অভ্যন্তরে শৃঙ্খলা বেড়েছে এবং শহর ও বন্দর এলাকায় যানজট কমেছে।
চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ