চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় আলী আকবর ইউনিয়নের শান্তিবাজার এলাকায় মা-মেয়েকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) জুমার নামাজের সময় আলী আকবরডেইল ইউনিয়নের শান্তিবাজার ৩নং ওয়ার্ড এলাকার নুরু সওদাগরের বসতবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- স্থানীয় নুরু সওদাগরের স্ত্রী রুনা আকতার (৩৬) ও তার ৬ বছরের কন্যা জারিয়া।
স্বজনরা জানান, শান্তিবাজার এলাকার নুরু সওদাগর তার বাসায় মাছ পৌঁছে দিয়ে জুমার নামাজ পড়তে যায়। নামাজ পড়ে এক ছেলেকে দোকান খুলতে চাবির জন্য বাসায় পাঠায়। ছেলেটি বাসায় গিয়ে অনেক ডাকাডাকির পর কারো কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে প্রতিবেশিদের জানায় এবং তাদের নিয়ে বাসায় ঢুকে। তখন মা-মেয়েকে বাসার ফ্লোরে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পায়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ ও নৌবাহিনীর সদস্যরা পুরো এলাকা ঘিরে তল্লাশি শুরু করে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে এলাকাবাসী জানান, ঘরের আলমিরা ভাঙা দেখতে পায়। তারা ধারণা করছেন দুর্বৃত্তের দল বাসায় স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকার জন্য আলমিরা চুরি করতে যায়। বাধা দিলে মা-মেয়েকে হত্যা করেছে। কাছের লোকজন না হলে ঘনবসতি এলাকায় এমন নারকীয় কাণ্ড ঘটানো সম্ভব নয়।
হত্যার ঘটনায় ক্লু-উদঘাটনে পুলিশ ও নৌবাহিনীর টিম ঘরে ঘরে তল্লাশি চালাচ্ছে বলে জানা গেছে। জোড়া খুনের সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এলাকাবাসী।
এদিকে, স্ত্রী কন্যা খুনের এমন ঘটনা দেখে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন নুরু সওদাগর। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন স্বজনরা। এই জোড়া খুনের ঘটনায় এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসছে। তবে এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ ও নৌবাহিনীর সদস্যরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কুতুবদিয়া থানা পুলিশের ওসি আরমান জানান, কুতুবদিয়ার আলী আকবর ডেইলের শান্তিপাড়ার বাসিন্দা নুরু সওদাগর জুমার নামাজ পড়ে বাড়িতে আসেন। ঘরের দরজা খুলে দেখতে পান রান্নাঘরে তার স্ত্রী ও মেয়ের গলাকাটা নিথর দেহ পড়ে আছে। পরে তিনি থানায় খবর দিলে পুলিশ ও নৌবাহিনী ঘটনাস্থল থেকে মা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে। তবে কি কারণে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে তা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
চাটগাঁ নিউজ/এসএ