বান্দরবান প্রতিনিধি : বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে বিজিবির সাথে মাদক কারবারিদের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় একজন নিহত হয়েছে।
বিজিবি জানিয়েছে, বিজিবির মাদক ও চোরাচালান বিরোধী টহলদলের ওপর নিজাম ডাকাত দলের চোরাকারবারী সিন্ডিকেট গুলিবর্ষণ ও বিজিবি’র মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আত্মরক্ষার্থে বিজিবি গুলি চালিয়েছে। এসময় ইয়াবা ও বার্মিজ সিগারেট উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত ব্যক্তির নাম নেজাম উদ্দীন। তার বাড়ি কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়নে। নিহতের বিষয়টি খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
আজ সোমবার (০৩ জুন) ভোর ৫ টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নের ভালুখাইয়া বিওপির আওতাধীন গর্জনিয়ার মরিচ্যাচা নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গোলাগুলির বিষয়টি নিশ্চিত করে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে বিজিবির মাদক ও চোরাচালান বিরোধী টহলদলের ওপর নিজাম ডাকাত চোরাকারবারী সিন্ডিকেটের গুলিবর্ষণ ও বিজিবি’র মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। আত্মরক্ষার্থে বিজিবিও গুলি ছুঁড়ে। এসময় ইয়াবা ও বার্মিজ সিগারেট উদ্ধার করা হয়।
তবে এঘটনায় একজন আহতের কথা উল্লেখ করলেও নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেনি বিজিবি।
বিজির পক্ষ থেকে জানানো হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ইয়াবা ও সিগারেট আটক অভিযানে নেমে ৯৮ কার্টুন বার্মিজ সিগারেট এবং ২০ হাজার পিস ইয়াবা আটক করতে সক্ষম হয় বিজিবি। মাদক এবং সিগারেট আটকের খবর পেয়ে ১৫০-২০০ জন চোরাকারবারী, দুষ্কৃতিকারী, নিজাম ডাকাতের নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ হয়ে বিজিবি টহল দলের উপর অতর্কিতভাবে হামলা করে। এসময় প্রায় ৫০-৬০ রাউন্ড গুলি করতে করতে অগ্রসর হয় তারা। পরে জানমাল রক্ষার্থে মেজর রাফি-উস-হাসান এর নেতৃত্বে হাবিঃ মোঃ হুমায়ন কবির এসএমজি দ্বারা পাল্টা ফায়ার করে। এসময় ডাকাত এবং দুষ্কৃতকারীরা পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে বিজিবির ৪টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে। এ ঘটনায় ১ জন চোরাকারবারী আহত হয়েছে বলে জানা যায়।
নিহত নেজাম উদ্দীনের পিতা বশির আহমদ বলেন, আমার ছেলে পরশুদিন বেড়াতে গেছে সেখানে। কালকে রাতেও কথা হয়েছে সে আজকে সকালে চলে আসবে বলেছে। পরে শুনলাম বিজিবির সাথে গোলাগুলিতে নিহত হয়েছে। আজকে সকালে তার লাশ আসল।
চাটগাঁ নিউজ/ইলিয়াছ/এসআইএস