কক্সবাজার সদর প্রতিনিধি : ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। এর প্রভাবে এরই মধ্যে বৃষ্টি আর বাতাস বইছে। আজ (রবিবার) বিকালের দিকে এটি আঘাত আনতে পারে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়‘রেমাল’ মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। আপদকালীন সময়ে সার্বিক যোগাযোগ রক্ষায় খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৬৩৮টি আশ্রয় কেন্দ্র। মজুদ আছে পর্যাপ্ত শুকনো খাবার। জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরী সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।
জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় কক্সবাজারের সহকারী আবহাওয়াবিদ মো. আবদুল হান্নান বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় রেমাল ‘সিভিয়ার সাইক্লোনে’ পরিণত হতে পারে। ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার বেগে এটি অতি প্রবল আকার ধারণ করে আঘাত হানতে পারে উপকূলীয় অঞ্চলে। সকল মাছ ধরার ট্রলারগুলোকে উপকূল অঞ্চলে চলে আসতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সিপিপি’র উপ-পরিচালক মো. হাসানুল আমিন বলেন, ‘দুর্যোগকালীন মাঠে থাকবে সিপিপি’র ৮ হাজার ৬০০ স্বেচ্ছাসেবক। তাদের সাথে কাজ করবে রেডক্রিসেন্টের ২ হাজার ২০০ জন স্বেচ্ছাসেবক। শনিবার থেকে স্বেচ্ছাসেবকেরা আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে নিয়োজিত থাকবে। সেখান থেকে দায়িত্ব বণ্টন করে উপকূলীয় এলাকাগুলোতে তারা মানুষকে বুঝিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসবে।’
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘দুর্যোগ মোকাবেলায় শুকনো খাবারের সংকট হবে না। এছাড়া জিআর চাল বরাদ্দ রয়েছে ৪৮৬ মে. টন। নগদ টাকা আছে ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। দুযোর্গ তহবিলে আছে ১৮ লাখ ২৩ হাজার ৪৪৮ টাকা। ঢেউটিন মজুদ আছে ২৩ বান্ডিল এবং টিনের সাথে গৃত নির্মাণ বাবদ ৬৯ হাজার টাকা রাখা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন, পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম ও আবহাওয়াবিদ মো. আবদুল হান্নান, সিপিপি’র উপ পরিচালক মো. হাসানুল আমিন, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জাহিদ ইকবাল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিভীষণ কান্তি দাশ, কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার ও ফায়ার সার্ভিস সহ সরকারি, বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের পদস্থ কর্মকর্তারা।
চাটগাঁ নিউজ/আছহাব/এসআইএস