চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : চট্টগ্রামের মেয়েদের মধ্যে গড়ে সবচেয়ে দ্রুত বিয়ে করেন সন্দ্বীপের মেয়েরা। আর পটিয়ার মেয়েরা গড়ে সবচেয়ে বেশি বয়সে বিয়ে করেন। মেয়েদের পাশাপাশি বিয়েতে পিছিয়ে পটিয়ার ছেলেরাও। আর সবচেয়ে দ্রুত বিয়ের পিঁড়িতে বসেন বাঁশখালী উপজেলার ছেলেরা।
এমন তথ্যই উঠে এসেছে ২০২২ সালের জনশুমারি ও গৃহগণনা চট্টগ্রামের প্রতিবেদনে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে নগরীর সার্কিট হাউসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে জেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রামের বিবাহ উপযুক্ত ছেলেরা গড়ে ২৭ দশমিক ০৮ বছর বয়সে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। আর মেয়েরা বিয়ের পিঁড়িতে বসেন গড়ে ২০ দশমিক ৪০ বছর বয়সে। গ্রাম এলাকার তুলনায় দ্রুত বিয়ে করেন শহরের ছেলেরা, তবে এর ঠিক বিপরীত অবস্থান মেয়েদের। গড়ে গ্রামাঞ্চলের ছেলেরা ২৭ দশমিক ৩২ বছর বয়সে এবং মেয়েরা ১৯ দশমিক ৯৮ বছর বয়সে বিয়ে করেন। আর গড়ে শহরাঞ্চলের ছেলেরা বিয়ে করেন ২৬ দশমিক ৯২ বছর বয়সে এবং মেয়েরা ২০ দশমিক ৭৩ বছর বয়সে।
জেলার ১৫ উপজেলার মধ্যে গড়ে সবচেয়ে দ্রুত ২৬ দশমিক ৩৩ বছর বয়সে বিয়ে করেন বাঁশখালীর ছেলেরা। আর পটিয়া ও বোয়ালখালীর ছেলেরা গড়ে সবচেয়ে দেরিতে ২৮ দশমিক ৬৫ বছর বয়সে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। মেয়েদের ক্ষেত্রে গড়ে সবচেয়ে কম ১৯ দশমিক ২৮ বছর বয়সে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন সন্দ্বীপের মেয়েরা, সবচেয়ে বেশি গড়ে ২০ দশমিক ৯৬ বছর বয়সে বিয়ে করেন পটিয়া উপজেলার বিবাহযোগ্য মেয়েরা।
অন্যান্য উপজেলার মধ্যে আনোয়ারার ছেলেরা ২৭ দশমিক ৪৬, চন্দনাইশের ছেলেরা ২৭ দশমিক ৬৭, ফটিকছড়ির ছেলেরা ২৬ দশমিক ৮৪, হাটহাজারীর ছেলেরা ২৮ দশমিক ৫০, কর্ণফুলীর ছেলেরা ২৬ দশমিক ৮০, লোহাগাড়ার ছেলেরা ২৬ দশমিক ৫৯, মিরসরাইয়ের ছেলেরা ২৭ দশমিক ১০, রাঙ্গুনিয়ার ছেলেরা ২৭ দশমিক ১৯, রাউজানের ছেলেরা ২৮ দশমিক ২২, সন্দ্বীপের ছেলেরা ২৬ দশমিক ৫৭, সাতকানিয়ার ছেলেরা ২৭ দশমিক ৬১ এবং সীতাকুণ্ডের ছেলেরা ২৭ দশমিক ২৬ বছর বয়সে বিয়ে করেন।
অন্যদিকে, আনোয়ারার মেয়েরা ২০ দশমিক ৬১, বাঁশখালীর মেয়েরা ১৯ দশমিক ৭২, বোয়ালখালীর মেয়েরা ২০ দশমিক ৫২, চন্দনাইশের মেয়েরা ২০ দশমিক ৩০, ফটিকছড়ির মেয়েরা ১৯ দশমিক ৩০, হাটহাজারীর মেয়েরা ২০ দশমিক ৬৮, কর্ণফুলীর মেয়েরা ২০ দশমিক ০৬, লোহাগাড়ার মেয়েরা ১৯ দশমিক ৫৯, মিরসরাইয়ের মেয়েরা ১৯ দশমিক ৬৮, রাঙ্গুনিয়ার মেয়েরা ১৯ দশমিক ৩২, রাউজানের মেয়েরা ২০ দশমিক ০৭, সাতকানিয়ার মেয়েরা ১৯ দশমিক ৯২ এবং সিতাকুণ্ডের মেয়েরা ২০ দশমিক ২১ বছর বয়সে বিয়ে করেন।
প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, জেলার মোট জনসংখ্যা ৯১ লাখ ৬৯ হাজার ৪৬৫ জন। এর মধ্যে ৪৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ পুরুষ, ৫০ দশমিক ১৫ শতাংশ নারী এবং ০ দশমিক ০০৫ শতাংশ হিজড়া। জেলায় পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা বেশি ২৮ হাজার ৮১৩ জন।
পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্মসচিব দেব দুলাল ভট্টাচার্য্যরে সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন অধ্যাপক চন্দন কুমার পোদ্দার।
চাটগাঁ নিউজ/এসএ