সিপ্লাস ডেস্ক: খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, বর্তমানে সরকারি গুদামে ১৬ লাখ ৬৯ হাজার ৯৯ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে। এর মধ্যে ১৫ লাখ ১৬ হাজার ৪৩ জন টন চাল, এক লাখ ৫২ হাজার ২৮৩ মেট্রিন টন গম ও এক হাজার ১৮৮ মেট্রিন টন ধান।
বুধবার জাতীয় সংসদে মোরশেদ আলমের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী জানান, দেশে খাদ্য নিরাপত্তা বিবেচনা করে নিরাপত্তা মজুত ১০ দশমিক ৫০ লাখ মেট্রিক টনের পরিবর্তে স্বাভাবিক সময়ের জন্য ১৩ লাখ মেট্রিক টন ও সংকটকালীন সময়ে ১৪ লাখ মেট্রিন টন নির্ধারণ করা হয়েছে।
চীনের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি : শফিকুল ইসলাম শিমুলের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানান, বর্তমানে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি হয়েছে। এ ছাড়া সার্কভুক্ত ভারত, পাকিস্তান, ভুটান, আফগানিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে এবং নেপাল, শ্রীলংকা ও মালদ্বীপের সঙ্গে বাণিজ্য উদ্বৃত্ত রয়েছে।
মন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চীনের সঙ্গে ১৫ হাজার ৪৮৮ দশমিক ৮৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ভারতের সঙ্গে সাত হাজার ১৬০ দশমিক ৮১ মিলিয়ন, আফগানিন্তানের সঙ্গে ১ দশমিক ৪৯ মিলিয়ন, ভুটানের সঙ্গে ১৪ দশমিক ২৯ মিলিয়ন ও পাকিস্তানের সঙ্গে ৪৬৬ দশমিক ৩৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। নেপালের সঙ্গে ৪১ দশমিক ৫৪ মিলিয়ন, মালদ্বীপের সঙ্গে ৩ দশমিক ৪৬ মিলিয়ন ও শ্রীলংকার সঙ্গে ৯ দশমিক শূন্য ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাণিজ্য উদ্বৃত্ত রয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সল্পোন্নত দেশগুলোতে চীন ৮ হাজার ৯৩০টি পণ্য, অর্থাৎ ৯৮ শতাংশ পণ্যে শুল্কমুক্ত প্রবেশ সুবিধা দিয়েছে। তবে বর্তমানে চীনে অধিক মূল্য সংযোজিত পণ্যের চাহিদার বৃদ্ধি, পণ্যের মান ও কমপ্লায়েন্স প্রতিপালনে কঠোরতা ও কোভিডের কারণে চীনের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগের প্রতিবন্ধকতার কারণে আশানুরূপভাবে রপ্তানি বৃদ্ধি পাচ্ছে না।
মসিউর রহমান রাঙ্গার প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, গত ১৫ বছরে রপ্তানি আয়ের গড় প্রবৃদ্ধি ১১ দশমিক ২৭ শতাংশ। ২০০৮-৯ অর্থবছরে রপ্তানি আয় ছিল ১৫ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২২-২৩ অর্থবছরে সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩ দশমিক শূন্য ৬ বিলিয়ন ডলারে। অর্থ্যাৎ ১৫ বছরে মোট প্রবৃদ্ধি ৩০৫ শতাংশ।
তৈরি পোশাক খাতে মজুরি পুনর্নির্ধারণে সরকার সচেষ্ট: নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের প্রশ্নের জবাবে বর্তমানে তৈরি পোশাক খাতে ন্যূনতম মজুরি পুনর্নির্ধারণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে উল্লেখ করে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, তৈরি পোশাক শিল্পে কর্মরত শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২০১৮ সালে ৫৩০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০০০ টাকা করা হয়েছে। যথাসময়ে মজুরি পুনর্নির্ধারণে মন্ত্রণালয় সচেষ্ট রয়েছে।