রাউজান প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের রাউজানে দুই ছাত্রদল নেতাকে অপহরণ করে নদীর চরে নিয়ে হাত-পা, চোখ-মুখ বেঁধে মারধরের ঘটনায় রাউজান থানায় মামলা হয়েছে। শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে বাদি হয়ে মামলাটি করেন অপহরণের শিকার উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব জয়নাল আবেদীনের পিতা মুহাম্মদ শওকত আলী।
যেখানে তিনি অপহরণ, হত্যাচেষ্টা ও চাঁদাবাজীর অভিযোগে ১৬ জনকে আসামী করেন। এছাড়াও অজ্ঞাত ১০/১২ জনকে আসামী করা হয়।
মামলার আসামীরা হলেন – মো. হাবিব (৪৭), মো. শাহ আলম (৩৫), মো. লোকমান (৪৩), আব্দুর রশিদ প্রকাশ রইশ্যা (৪৭), মো. লোকমান প্রকাশ লাড্ডুম (৩৫), জাবেদ (২০), জানে আলম (৩৮), মো. সোহেল (৩৫), কামরুল হাসান টিটু (৪৮), রাজু প্রকাশ মিন্টু (২৮), মো. পাভেল (২৪), ইশান (২০), বাবুল প্রকাশ বালিকা (৪৬), রায়হান (২৩), রানা (২৫) ও লেদু মিয়া প্রকাশ লেদাইয়া (২৮)।
এরা প্রত্যকেই বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী বলে জানা গেছে। তবে তাদের কোন রাজনৈতিক পদবী নেই। এঘটনায় আজ শনিবার বিকেল পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে পুলিশের দাবী গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান আছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন (৩২) ও নোয়াপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন (৩০) গত বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয় ইউপি কার্যালয়ে কাজে গিয়েছিলেন। হাঠাৎ ১০ থেকে ১২ জনের একটি সশস্ত্র দল এসে দুজনকে অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায়। ওখান থেকে চৌধুরীঘাট কূলে নিয়ে দুজনকে হকিস্টিক, লোহার রড ও লাঠিসোঁটা দিয়ে মারধর করা হয়। মারা গেছে ভেবে এই জায়গা থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে কচুখাইন গ্রামের কর্ণফুলী ও হালদা নদীর মোহনায় থাকা মাঝের চরে হাত, পা ও মুখ বেঁধে ফেলে দিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এজাহারে আরো উল্লেখ করা হয়, অপহরণকারীরা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। সন্ত্রাসীরা তার ছেলেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর মুক্তিপণ চেয়েছিল। টাকা না দেওয়ায় পিটিয়ে জখম করে মেরে ফেলতে চেয়েছিল সন্ত্রাসীরা।
আহত জয়নাল আবেদীন সোহেলের বাড়ি নোয়াপাড়া ইউনিয়নের নিরামিশপাড়া এবং সাজ্জাদের বাড়ি কচুখাইন গ্রামে। রাজনৈতিক কারণে তাদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করছে বিএনপির নেতারা। তারা দু’জনই বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম আকবর খোন্দকারের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। দুজনই এখনো চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মাহবুবুর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গতকাল রাতেই মামলা হয়েছে। আমরা যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পদক্ষেপ নিচ্ছি।
চাটগাঁ নিউজ/যুবাযের/জেএইচ