সিপ্লাস ডেস্ক: চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য যে প্রকল্প প্রয়োজন তার পাঁচ ভাগের মাত্র এক ভাগের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (সিডিএ)। চট্টগ্রাম শহরে খাল সংলগ্ন এক হাজার ৬৮০ কিলোমিটার ড্রেন রয়েছে। তার মধ্যে প্রকল্পের অধীনে মাত্র ৩১৪ কিলোমিটার ড্রেনের কাজ করছে সেনাবাহিনী।
গতকাল শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মুরাদপুর মোড়ের নবনির্মিত কালভার্ট উদ্বোধনকালে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষ এসব কথা বলেন।
দীর্ঘ ৮ মাস বন্ধ থাকার পর নগরীর মুরাদপুর কালভার্ট যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড। গতকাল বিকেলে চশমা খালের উপর নির্মিত কালভার্টটি উদ্বোধন করেন সিডিএ চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষ।
এ সময় সিডিএ চেয়ারম্যান বলেন, অনেকদিন কালভার্টটি বন্ধ থাকায় এই সড়ক ব্যবহারকারীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। আজ রবিউল আওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাবে। এই মাসের ১২ তারিখ এই সড়ক ধরে হাজার হাজার মানুষ চলাচল করবে। এ সময় যাতে মানুষের ভোগান্তি না হয়, সেজন্য আমরা দ্রুত ব্রীজটি যান চলাচলের জন্য চালু করে দিয়েছি।
জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের পরিচালক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের লে. কর্নেল মো. শাহ্ আলী বলেন, এই ড্রেন পুনঃনির্মাণ করতে গিয়ে ৯টি পাইপ লাইন সরাতে হয়েছে। এ জন্য কালভার্টটি নির্মাণে অতিরিক্ত সময় লেগেছে। আমরা কালভার্টটি এমনভাবে নির্মাণ করেছি পথচারীদের কালভার্টের মাঝখান দিয়ে হাঁটতে হবে না। পথচারীরা হাঁটার জন্য কালভার্টের দুই পাশে ফুটপাত তৈরি করে দিব আমরা।
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, এই কালভার্টটি প্রস্তুত করতে ওয়াসার ৯টি লাইন সরাতে হয়েছে। প্রায় ৪ সাড়ে কোটি টাকা ব্যয়ে ৬৬ ফুট প্রশস্ত ও ৩৩ ফুট দীর্ঘ কালভার্টটি নির্মাণে সময় লেগেছে প্রায় ৮ মাস।
এ সময় সিডিএ’র বোর্ড সদস্য জসিম উদ্দিন শাহ, প্রকৌশলী মো. মুনির উদ্দিন আহমদ, মো. ফারুক, অ্যাডভোকেট জিনাত সোহানা, প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস্ ও প্রকল্প পরিচালক আহমদ মঈনুদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় মুরাদপুর মোড়ে কালভার্ট নির্মাণের জন্য মুরাদপুর থেকে অক্সিজেন পর্যন্ত সড়কের যান চলাচল গত ১৭ জানুয়ারি থেকে বন্ধ রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড এই সড়কটি সাময়িক বন্ধ রাখার কথা জানিয়ে ওই এলাকায় ব্যানার টাঙিয়ে দেয়। এ সময় বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।