ঠিকাদারদের স্বার্থেই মেগা প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল: পরিকল্পনা উপদেষ্টা

চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : বিগত সরকারের সময়ে ঠিকাদারদের স্বার্থে মেগা প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল বলে মন্তব্য করে অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, দেশের সামগ্রিক অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে নেওয়া হয়নি। এখন এই মেগা প্রকল্প নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসি ভবনের সম্মেলন কক্ষে তিনি এসব কথা বলেন।

পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, দেশের মেগা প্রকল্প বা বড় প্রকল্পের বিষয়ে কোন নীতি নাই। প্রকল্পের বিষয়ে সময় একটা বড় জিনিস। এটা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে এগুলো নিয়ে এগুবো না, এগুবো না। কিছু খরচ হয়ে গেলেই প্রকল্প শেষ করতে হবে বিষয়টা এমন না। কিন্তু যৌক্তিক অর্থনৈতিক বিবেচনা হলো কত খরচ করেছি বিষয়টা এটা, না বাকি কাজ করতে কতো লাগবে। পুরো প্রকল্প থেকে কত সুবিধা পাবো এটাই বিষয়। প্রকল্পে লাভ ক্ষতি দেখতো হবে। কিছু খরচ হয়ে গেছে বলেই মানসিক চাপ থাকবে প্রকল্প শেষ করতে হবে বিষয়টা এমন নয়। এটা অর্থনীতির যুক্তিতে চলে না।

তিনটি মেট্রোরেলসহ শুধু মেগা ১০ প্রকল্পের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে প্রায় ৫১ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের এডিপিতে গুরুত্ব দিয়ে বরাদ্দ দেওয়া মেগা প্রকল্পের কয়েকটি হলো রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের বরাদ্দ ১০ হাজার ৫০২ কোটি টাকা। এতে রাশিয়ার বৈদেশিক ঋণ আছে। ২০২৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত এ প্রকল্পের আওতায় খরচ হয়েছে ৬৪ হাজার ৯২৫ কোটি টাকা।

এছাড়া মেট্রোরেল লাইন-৬ প্রকল্পে বরাদ্দ ১৯৭৫ কোটি টাকা। এখন পর্যন্ত খরচ হয়েছে ২০ হাজার ৭৫৭ কোটি টাকা। মেট্রোরেল লাইন-১ প্রকল্পে বরাদ্দ আছে ১৯৪২ কোটি টাকা। এখন পর্যন্ত খরচ হয়েছে ১৫৮৫ কোটি টাকা। মেট্রোরেল লাইন-৫, নর্দান রুট প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ৯৬৮ কোটি টাকা। এখন পর্যন্ত খরচ হয়েছে ১৩০০ কোটি টাকা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেল সেতুর জন্য বরাদ্দ ২৫৬০ কোটি টাকা। এখন পর্যন্ত খরচ হয়েছে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। এসব প্রকল্পে জাপানসহ বিভিন্ন সংস্থার ঋণ রয়েছে। পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ প্রকল্পে বরাদ্দ ৩৫৪৪ কোটি টাকা, এখন পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ২৮,৪৯৮ কোটি টাকা। এটি বাস্তবায়নে ঋণ দিচ্ছে চীন। দোহাজারী-রামু-গুনদুম রেললাইন প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ১৪৫৩ কোটি টাকা। এখন পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ৭১৭২ কোটি টাকা। এটি বাস্তবায়নে চীন এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ঋণ রয়েছে। আরও কয়েকটি উল্লেখযোগ্য প্রকল্প হচ্ছে মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন, পায়রা বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়ন, সাপোর্ট টু ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ এবং সাসেক সংযোগ সড়ক প্রকল্প : এলেঙ্গা-হাটিকুমরুল-রংপুর মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প। এডিপি’র বরাদ্দ সকল মেগা প্রকল্পে কমানো হবে বলে জানায় কমিশন।

চাটগাঁ নিউজ/এআইকে

Scroll to Top