ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাস পুকুরে, নিহত ৫

চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: ফরিদপুরে রেলক্রসিংয়ে মাইক্রোবাসে ট্রেনের ধাক্কায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। তিনজন ঘটনাস্থলে ও বাকি দুইজন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে তাদের মৃত ঘোষণা করা হয়।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ফরিদপুর সদরের গেরদা এলাকায় রাজবাড়ী-ভাঙ্গা রেলক্রসিংয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ওই মাইক্রোবাসে চালকসহ মোট ৯ জন ছিলেন বলে জানা গেছে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন নারায়ণগঞ্জের ভূঁইয়াপাড়ার বাসিন্দা মামুন চৌধুরী ওরফে লিটন (৫০), তাঁর স্ত্রী ফাহমিদা শারমীন ওরফে মুন (৪০), একই এলাকার মো. হাসিব জহিরের স্ত্রী সাজিয়া সাজু (৪৫), মো. সাইদ ভূঁইয়ার স্ত্রী আতিফা রহমান (৩৬) ও নারায়ণগঞ্জের দড়িমোল্লাকান্দার বাসিন্দা মো. আলমগীর হোসেনের স্ত্রী উম্মে তানসুমা রিনতু (৩০)।

জানা যায়, গেরদা থেকে একটি সড়ক রেলপথ অতিক্রম করে মুন্সিবাজার এলাকায় মিলেছে। ওই পথে অবৈধ রেলক্রসিং রয়েছে। অনুমোদিত রেলক্রসিং না হওয়ায় ওই স্থানে রেলবিভাগের কোনো তত্ত্বাবধান নেই। দুপুরে মধুমতী এক্সপ্রেস নামের ট্রেনটি খুলনা থেকে ফরিদপুর হয়ে ঢাকা যাচ্ছিল। অপরদিকে ওই মাইক্রোবাসটি গেরদা থেকে মুন্সিবাজারের দিক আসছিল। এ সময় দুপুর সোয়া ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ফাইটার সালমান হোসেন দুপুরে জানান, দুপুর ১২টা ২৮ মিনিটে খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তারা ঘটনাস্থল থেকে তিনটি মরদেহ উদ্ধার করেছেন। ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসটি নিচের খাদে পড়ে যায়। সেটি উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে এসে তারা জানতে পেরেছেন আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

ফরিদপুর রেলের স্টেশনের স্টেশন মাস্টার তাকদির হোসেন বলেন, গেরদায় রেলবিভাগের অনুমোদিত কোনো রেলক্রসিং নেই। তবে দুর্ঘটনার বিষয়ে আমি শুনেছি এবং খোঁজ নিয়েছি। ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসটি পাশের পুকুরে পড়ে যায়। তবে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্লা বলেন, আমি ও ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘটনাটি কেন ঘটল এবং ভবিষ্যতে কীভাবে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো যায় সেটির ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি নিহতদের মরদেহ বহন ও দাফনের জন্য যাবতীয় খরচ বহন জেলা প্রশাসন থেকে দেওয়া হবে।

চাটগাঁ নিউজ/ইউডি 

Scroll to Top