চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১৪ নম্বর লালখান বাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল হাসনাত মোহাম্মদ বেলাল বলেছেন, ‘আমি মতিউর নই যে, ছাগলের জন্য ছেলেকে অস্বীকার করব। তারা আমার ছেলেবেলার বন্ধু। কে কার টাকায় মদ খাবে, না জুয়া খেলবে সেটা যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তাই বলে এখানে আমার নাম আসার কোনো যৌক্তিকতা আমি দেখি না।’
সম্প্রতি নগরীতে জুয়াবিরোধী অভিযানে নিজের ঘনিষ্ঠ দুই আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেফতারের বিষয়ে জানাতে সোমবার (৮ জুলাই) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে, গত ২ জুলাই (মঙ্গলবার) রাতে নগরীর ওয়াসা মোড়ের মুনতাসির টাওয়ারের সপ্তম তলায় জুয়ার আস্তানায় অভিযান চালায় খুলশী থানা পুলিশ। অভিযানে জুয়া খেলার সরঞ্জাম ছাড়াও জব্দ করা হয় নগদ টাকা। এ সময় ৩২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের মধ্যে কাউন্সিলর আবুল হাসনাত বেলালের অনুসারী বলে পরিচিত লালখানবাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান এবং সদস্য বিশ্বজিৎ চৌধুরী বিশুও ছিলেন।
অভিযোগ রয়েছে, মিজানুর রহমান দলের পরিচয় ব্যবহার করে জুয়ার আসরটি পরিচালনা করতেন। এর আগেও বেশ কয়েকবার অভিযান চালিয়ে ক্লাবটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাতেও কোনো লাভ হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে আবুল হাসনাত বেলাল বলেন, ‘‘আমি মতিউর নই যে, ছাগলের জন্য ছেলেকে অস্বীকার করব। তারা আমার বন্ধু। কে কার টাকায় মদ খাবে, না জুয়া খেলবে সেটা যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তাই বলে এখানে আমার নাম আসার কোনো যৌক্তিকতা আমি দেখি না। তবে আমার প্রশ্ন তো প্রশাসনের কাছে। ২০০ গজের ভেতর সিএমপির প্রধান অফিস। পাশেই জুয়ার আসর কিভাবে চলে।’
তিনি বলেন, ‘আমি একজন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি। এখন ক্লাব বন্ধ করতে গেলে মানুষ বলবে চাঁদা দেয়নি বলে ক্লাব বন্ধ করে দিচ্ছি। করতে গেলেও বিপদ। না করলেও বিপদ। অথচ ক্লাবটি ঘিরে সংবাদ প্রকাশ হচ্ছে। এখানে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমার নাম জড়ানো হচ্ছে। এ ক্লাবের উপর একটি হোটেল আছে। সেখানে অসামাজিক কার্যকলাপ চলতো। জেলা প্রশাসন গিয়ে সেটা সিলগালা করে দিয়েছে। এ হোটেল নিয়ে তো আমার কোনো নাম আসেনি। আমার কোনো বন্ধুও সে হোটেলে যায়নি।’
সামনে নির্বাচনকে ঘিরে সুনাম ক্ষুন্ন করতেই গুজব ছড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন আবুল হাসনাত মোহাম্মদ বেলাল। তিনি বলেন, ‘এগুলো করার উদ্দেশ্য হচ্ছে, সামনের নির্বাচনের আগে যাতে আমার ইমেজ নষ্ট করা যায়। আমার ওয়ার্ডের মানুষ শান্তিপূর্ণ লালখান বাজার চায়। তাই লালখান বাজারকে শান্তিপূর্ণ রাখতে যতটুকু ত্যাগ করা দরকার আমি করব।’
গ্রেফতার আসামিদের ছাড়াতে স্থানীয় মহিলা কাউন্সিলর আনজুমান আরা থানায় গিয়েছিলেন কেন? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘মহিলা কাউন্সিলর কেন থানায় গেছে সেটা তার ব্যাপার। আপনারা উনাকে নিয়ে নিউজ করেননি। আমাকে নিয়ে করেছেন। আমরা আলাদা আলাদাভাবে মেয়র সাহেবকে কৈফিয়ত দিই। উনি কেন গেছেন সেটা তাকে জিজ্ঞাসা করেন।’
চাটগাঁ নিউজ/এসএ