চাটগাঁ নিউজ ডেস্কঃ চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য মো. আবদুল মোতালেব বলেছেন, জীবনে একদিনও আওয়ামী লীগ না করে দুবার আওয়ামী লীগের এমপি হয়েছিলেন নদভী সাহেব। তারপর স্ত্রী, ভাইপো, শ্যালক, ভাগনে, ব্যক্তিগত সহকারীরা সিন্ডিকেট করে লুটপাটের স্বর্গরাজ্য বানিয়েছিলেন সাতকানিয়া লোহাগাড়াকে। এখন চোরের মায়ের বড় গলা হয়েছে। তিনি নিজেকে ধোয়া তুলসীপাতা ও নিষ্পাপ প্রমাণ করতে চান।
রবিবার (২৪ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে নদভীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে এসব কথা বলেন তিনি।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) নদভী এক সংবাদ সম্মেলন করে মোতালেবের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেছিলেন। ওই অভিযোগের জবাব দিতে আজ মোতালেব সংবাদ সম্মেলন করেন।
নির্বাচনের পর সাতকানিয়া ও লোহাগাড়ায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, ছয়জন খুন হয়েছেন বলে নদভী অভিযোগ করেছেন। পাশাপাশি নৌকার পক্ষে কাজ করার জন্য আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের দমন নিপীড়নের অভিযোগ তার।
এ প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আবদুল মোতালেব আরও বলেন, নদভী ছয় খুনের মিথ্যা গল্পে কেঁদেছেন। এই গল্প অগ্রহণযোগ্য, নিন্দনীয় ও তথ্য প্রমাণহীন। সাতকানিয়া লোহাগাড়া দুই থানার ওসিও এই বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছেন। সংবাদপত্রে বলেছেন, সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় কোনো রাজনৈতিক সহিংসতা নেই, ছয় খুনের বিষয়টা কাল্পনিক।
সাতকানিয়া ও লোহাগাড়ায় জামায়াতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে বলে নদভী যে অভিযোগ করেছিলেন। তার জবাবে মোতালেব বলেন, আমি যেসব সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, দখলবাজ ও চোর-বাটপারদের ইতিমধ্যে দমন করেছি, তাদের পক্ষ নিয়েই নদভী উক্ত সংবাদ সম্মেলন করেছেন বলে আমার স্থির বিশ্বাস। কারণ, সংবাদ সম্মেলনে তিনি অসংলগ্ন প্রলাপের মাধ্যমে সন্ত্রাসীদের পক্ষ নিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খোরশেদ আলম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন হিরু, সাতকানিয়া উপজেলার সহসভাপতি আহমদ সাইফুদ্দীন সিদ্দিকী ও প্রদীপ কুমার চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ আহমদ লিটন, জসিম উদ্দীন, উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আঞ্জুমান আরা বেগম ও দক্ষিণ জেলার দফতর সম্পাদক বিজয় কুমার বড়ুয়া।
চাটগাঁ নিউজ/এসবিএন