চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে শেরপুরের ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন মিষ্টান্ন রসমালাই। রসমালাই শেরপুরে ছানার পায়েস নামে অধিক পরিচিত। তবে দেশ জুড়ে ছানার পায়েসকে রসমালাই নামে চেনে সবাই।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি ছানার পায়েসকে (রসমালাই) ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির আবেদন করে শেরপুর জেলা প্রশাসন। এরপর নানা তথ্য সংগ্রহ এবং এই খাবারের বিশেষত্ব যাচাই করে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেড মার্কস অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মুনিম হাসান স্বাক্ষরিত চিঠিতে ছানার পায়েসকে ৪৩তম জিআই পণ্য হিসেবে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
ছানার পায়েস বা রসমালাই জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় উৎসবে মেতেছেন শেরপুরের বাসিন্দারা। স্বীকৃতি পাওয়ার পর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অনেকে মিষ্টি বিতরণ করেন।
অনুরাধা মিষ্টান্ন ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী বাপ্পি দে বলেন, জিআই পণ্য হিসেবে ছানার পায়েসের স্বীকৃতি শেরপুর জেলাকে বিশ্বের দরবারে অন্যভাবে চেনাবে। পাশাপাশি এই ছানার পায়েস দেশ ছাড়াও বিদেশে রপ্তানি হবে। এতে দেশের অর্থনীতিতে অনন্য ভূমিকা রাখবে পণ্যটি। মূলত দুধ, চিনি, এলাচের মিশ্রণে তৈরি গুটি গুটি রসালো মিষ্টির নামটি ছানার পায়েস বা রসমালাই।
জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান বলেন, ছানার পায়েস ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় তা শেরপুরের অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। দেশের সব জেলাসহ সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে এই ছানার পায়েস বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে অর্জিত হবে বৈদেশিক মুদ্রা। এর আগে শেরপুরের তুলশীমালা ধান জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
চাটগাঁ নিউজ/ইউডি