সৌদি আরব প্রতিনিধি: বিশ্বের সবচেয়ে সেরা বিশুদ্ধ পানি নাম জমজম কূপের পানি। এ পানির কূপ সৌদি আরবের মক্কা পবিত্র বায়তুল্লাহ কা’বার পাশ্ববর্তী অবস্থিত।
জমজম কূপের পানি মক্কা মদিনা হেরামে হজ্ব যাত্রী সহ সবার জন্য সবসময় উম্মুক্ত থাকে। জমজমের পানি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে মুসলিম পুণ্যার্থীদের কাছে।
ইতোমধ্যে পবিত্র মক্কা মসজিদুল আল হেরাম ঘিরে বায়তুল্লাহ কা’বা ও মদিনা মনোয়ারা রওসুলের রওজা মোবারক ঘিরে মসজিদে নববী। এ দুই হেরামে জমজম পানি নিয়ে নতুন নিদর্শন জারি করেছেন দেশটির সরকার।
সৌদির বিভিন্ন পত্রিকার প্রতিবেদনে জানা যায়, জমজমের পানি পান করার ক্ষেত্রে নতুন নির্দেশিকাটি সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা হয়েছে।
এ নির্দেশিকায় জমজমের পানি পান করার সময় ধাক্কাধাক্কি এড়িয়ে চলার পরামর্শ ছাড়াও অন্যকে সহযোগিতার কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া পানি পান করার সময় বয়স্কদের আগে সুযোগ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
এ ছাড়া আরও বলা হয়েছে, জমজমের পানি পান করার পর একবার ব্যবহারযোগ্য কাপগুলো (ওয়ান টাইম কাপ) নির্ধারিত স্থানে ফেলতে হবে। আর পান করার সময় তা সতর্কতার সঙ্গে করতে হবে, যেন মেঝেতে পানি না পড়ে। কারণ মেঝেতে পানি পড়লে খুব দ্রুত পরিবেশ নোংরা হয়ে যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জমজমের জীবাণুমুক্ত পানি মূলত ইসলামের দুই পবিত্র স্থান—মক্কার মসজিদুল হারাম এবং মদিনার মসজিদে নববিতে বিতরণ করা হয়। ওমরাহ মৌসুমকে সামনে রেখে এসব নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
ধর্মপ্রাণ মুসলিম কাছে জমজমের পানি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। অন্য দেশ থেকে যাঁরা সৌদি আরবে ওমরাহ ও হজ পালন করতে যান, তাঁরা দেশে ফেরার সময় প্রায়ই জমজমের পানি কিনে নিয়ে যান। এই পানি সাধারণত তাঁরা আত্মীয়–স্বজন এবং বন্ধুদের উপহার দিয়ে থাকেন।
অনেকেই বিশ্বাস করেন, জমজমের পানির বিশেষ গুণ রয়েছে। এই পানি পান করলে অনেক সময় তা বড় ধরনের রোগের বিরুদ্ধেও কার্যকরী হতে পারে।