চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: জাতীয় পতাকা অবমাননা মামলায় অভিযুক্ত সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে সংঘর্ষের ঘটনায় সাইফুল ইসলাম আলিফ নামে একজন আইনজীবী নিহত হয়েছেন। অবশ্য অনেকের দাবি, বিক্ষোভকারীরাই এই আইনজীবীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ৬ জন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে আহতরা হলেন— শ্রীবাস দাশ, শারকু দাশ, ছোটন, সুজিত ঘোষ, উৎপল ও এনামুল হক।
এই ঘটনার প্রতিবাদে চট্টগ্রামের নিউ মার্কেট, লালদীঘি ময়দান ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ এলাকাসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। ন্যাক্কারজনক এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়েছেন মুসলিম জনতা ও আইনজীবীরা। প্রত্যেকে তাদের বক্তব্যে দ্রুত হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করার দাবি জানান।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আদালত ভবনের প্রধান গেইটস্থ সড়ক এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আহতদেরকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা আইনজীবী আলিফকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, সংঘর্ষের ঘটনায় আহত আরো ১৯ জনকে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আব্দুল মন্নান জানান, আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অধিকতর চিকিৎসা দিয়ে বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। তারা বর্তমানে আশঙ্কামুক্ত রয়েছেন।
অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি এলাকার বাসিন্দা। তার বাবার নাম জালাল উদ্দিন। সম্প্রতি তিনি চট্টগ্রাম আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।
সাইফুল ইসলাম আলিফ আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। ২০১৮ সালে আইনজীবী সমিতির সদস্য হন। পরে তিনি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবেও নিবন্ধন পান।
চাটগাঁ নিউজ/ইউডি/এসএ