আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কলকাতায় একটি সরকারি হাসপাতালের ভিতরেই মৃত্যু হয়েছে এক নারী চিকিৎসকের। এই ঘটনায় ধর্ষণ ও খুনের মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে । ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে কলকাতাজুড়ে।
গত বৃহস্পতিবার ( ৯ আগস্ট) গভীর রাতে আরজিকর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটে। শুক্রবার সকালে অর্ধনগ্ন অবস্থায় ওই নারী চিকিৎসকের দেহ আবিষ্কার করেন আরেক চিকিৎসক। জানা গেছে, মৃত ওই চিকিৎসক স্নাতকোত্তর দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। কর্তব্যরত অবস্থায় রাতে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সেমিনার রুমে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন তিনি। সেখানেই এই ঘটনা ঘটে। শুক্রবার রাতেই তার ময়নাতদন্ত করার পর জানা যায় ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে তাকে।
পরবর্তীতে পুলিশ সঞ্জয় নামের এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্রেপ্তার করে। সেমিনার রুমে কোন সিসিটিভি না থাকায় বাইরের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। জিজ্ঞাসাবাদে সঞ্জয়ের বক্তব্যে অসংগতি থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ডয়েচে ভেলে বাংলা জানিয়েছে, সূত্রের খবর অনুযায়ী, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, ভোর চারটার দিকে সেমিনার রুমে ঢুকছে সঞ্জয়। সাড়ে চারটার দিকে সে বের হয়ে আসে। নিহত ওই চিকিৎসকের মৃতদেহের পাশে একটি হেডফোন পড়েছিল। সেমিনার রুমে প্রবেশের সময় সঞ্জয়ের গলায় ব্লুটুথ হেডফোন দেখা গিয়েছিল। কিন্তু বেরোনোর সময় সেটি ছিল না। মরদেহের পাশে উদ্ধার হওয়া হেডফোন সঞ্জয়ের, এ ব্যাপারে নিশ্চিন্ত হওয়ার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ভেতরের কেউ এই ঘটনা ঘটিয়েছে। যাকে ধরা হয়েছে, সে ওখানে যাতায়াত করত। সে যেই হোক, তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে মামলা নিয়ে গিয়ে সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে।
এই ঘটনায় বিচারের দাবি প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। প্রতিবাদে পথে নেমেছেন ছাত্ররা। বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ কর্মবিরতি পালন করেছেন। ফলে ব্যাহত হয়েছে চিকিৎসা পরিষেবা।
চাটগাঁ নিউজ/এআইকে