চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর বহদ্দারহাটের বাসায় হামলার পরপরই চান্দগাঁও নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (৫ আগস্ট) দুপুরে শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবর প্রচারের পর পরই থেকে এসব ঘটনা ঘটে।
একদল দুর্বৃত্ত বিকেল তিনটার দিকে হামলা, লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় পুলিশ রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তবুও হামলা থেকে রেহায় হয়নি নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি।
চান্দগাঁও নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা: জয়ন্তী সরকার জানান, দুপুর ৩ টার পর থেকে একদল দুর্বৃত্তরা হামলা,লুটপাট এবং অগ্নি সংযোগ করে নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে।এতে ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ জানা যায় নাই। তবে তদন্তের মাধ্যমে ক্ষতির পরিমাণ পরবর্তীতে জানা যাবে।
জানা যায়, চট্টগ্রামে নগরে আনন্দ মিছিল থেকে বেশ কয়েকটি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।সে সময় কিছু দুর্বৃত্তরা নগরীর কোতোয়ালি, পতেঙ্গা ও চান্দগাঁও, আকবর শাহ ও পাহাড়তলীতে হামলা করেছে। এর মধ্যে পতেঙ্গা থানায় আগুন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে হামলা, নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার ছবি, ম্যুরাল, নামফলক ভাঙচুর করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বহদ্দারহাটে জড়ো হওয়া মিছিল থেকে মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর বাসায় ভাঙচুর করা হয়। এরপর আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় মেয়র বাসায় ছিলেন না। তবে তার পরিবারের সদস্যরা বাসায় ছিলেন।
এদিকে নগরের তিনটি থানায় অগ্নিসংযোগের পর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর দপ্তরে হামলা ও ভাঙচুর হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। পরে পুলিশ হামলাকারীদের বিরুদ্ধে রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে প্রতিরোধ করেছে বলে জানিয়েছেন সিএমপির এক কর্মকর্তা।
চাটগাঁ নিউজ/এআইকে