চট্টগ্রাম-১২ আসনে হুইপের গাড়িবহরে দুই দফা হামলা, গুলিবিদ্ধ ২

চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক:  চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর প্রচারণার সময় দুই দফা হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে নৌকার কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে।

প্রথম দফায় শান্তিরহাটস্থ মাদ্রাসা গেটে শনিবার সকাল ১১টায় হামলার ঘটনায় এক নারী ও হুইপের ভাইসহ ৫ জন আহত হয়। এদিন সন্ধ্যায় ২য় দফা হামলার ঘটনা ঘটে মাহমদ নগর এলাকায়। ওই ঘটনায় হুইপের গাড়িবহরে গুলি, রাম দা দিয়ে কুপিয়ে ৬টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয় ২ জন। এসময় আহত হন হুইপের ছোট বোনসহ ২০ জন।

গুলিবিদ্ধ দুইজন হলেন- মুহাম্মদ মনির (৪২) এবং ইদ্রিস (৪০)। এছাড়া আহতদের মধ্যে কয়েকজনের নাম পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন- হুইপের ভাই ফজলুল হক চৌধুরী মহব্বত (৫৫), রেখা চৌধুরী (৪০), নাজমা আক্তার (৩০), বেলাল চৌধুরী (৫৫), আরিফ (৩২), আবু তৈয়ব (৩২), রিমন (২৭), মিনহাজ উদ্দিন (২৫), মানিক (৪০), ইউপি সদস্য সালাউদ্দিন সরওয়ার (৩৩)।

সামশুল হক চৌধুরীর প্রধান সমন্বয়ক নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন জানান, বেলা ১১টার দিকে নির্বাচনী প্রচারণার গাড়িবহর নিয়ে শান্তির হাট বাজার অতিক্রম করার সময় প্রথম দফায় হামলার শিকার হয়। নৌকা প্রতীকের স্লোগান দিয়ে ১৫ থেকে ২০ জন হামলা চালায়। তাদের হামলায় হুইপের ভাই ফজলুল হক চৌধুরী মহব্বতের মাথা ফেটে যায় এবং নাজমা আক্তার নামের এক নারীর কাপড় পোশাক ছিঁড়ে ফেলে। এসময় তার মোবাইলও ছিনিয়ে নিয়ে যায় তারা।

তিনি আরও বলেন, সন্ধ্যায় উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়নের মোহম্মদ নগর এলাকায় গণসংযোগের সময়ও আরেক দফা হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় কয়েক রাউন্ড গুলি করা হয়। এসময় দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়। ৬টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।

নাজমুল করিম চৌধুরী শারুনের অভিযোগ, ‘নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণার শুরুর দিন থেকেই নৌকার কর্মী-সমর্থকরা বাধা দিচ্ছেন। সশস্ত্র অবস্থায় তারা হামলা করছেন। এতে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে। আশা করছি- প্রশাসন এসব বিষয়ে নজর দেবে।’

পটিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রচারণার সময় হামলার ঘটনা ঘটেছে। আমরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। এ বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।’

পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা কাজ করছি। হামলাকারীর সংখ্যার চেয়ে পুলিশের সংখ্যা খুবই নগন্য ছিল। তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছিল না। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নেব।

Scroll to Top