চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের ফলাফল কেলেঙ্কারি ও আর্থিক অনিয়ম তদন্তে ভাটা

বোর্ড ঘেরাও, অনশন সহ তীব্র আন্দোলনের ঘোষণা মুক্তিযোদ্ধাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক :
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সচিব ও সাবেক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র নাথের ধারাবাহিক কেলেঙ্কারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধারা চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষের সাথে দেখা করে জোর দাবি জানিয়েছেন।

শিক্ষা বোর্ডটির বিভিন্ন পর্যায়ের ফলাফল কেলেঙ্কারি প্রশাসনিক জালিয়াতি এবং আর্থিক অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে ইতিপূর্বে তীব্র প্রতিবাদ ও ক্ষোভ জানিয়ে আসছিলেন জাতির এই শ্রেষ্ঠ সন্তানরা ।

বোর্ড সচিবের বিরুদ্ধে নিজ সন্তানের ভর্তি, জিপিএ ৫ প্রাপ্তির টেম্পারিং, জিপিএ বাণিজ্য এবং আর্থিক ও প্রশাসনিক কেলেঙ্কারির চাঞ্চল্যকর দুর্নীতির তথ্য প্রমাণ ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ থেকে দুই মাস আগে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়।
সাত কর্ম দিবসে অভিযোগ সরেজমিনে তদন্ত-পূর্বক বিধি মোতাবেক সুস্পষ্ট মতামত সহ দুই প্রস্থ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল।

এর আগেই বোর্ড সচিব তার স্বহধর্মিনী বনশ্রী নাথকে দিয়ে লেখালেখির অজুহাতে বীর মুক্তিযোদ্ধা, পরিবেশবিদ প্রফেসর ডঃ মুহাম্মদ ইদ্রিস আলী এবং বোর্ডের সাবেক সচিব ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রফেসর আব্দুল আলীমের বিরুদ্ধে আইসিটি এক্টে হয়রানিমূলক মামলা করান ।

বাংলাদেশ মুক্তি সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র ট্রাস্ট চট্টগ্রামের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের মাধ্যম হয়ে পুরো ঘটনা তদন্তের নির্দেশনা আসে।

দুই মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পরেও রহস্যজনক কারণে এই তদন্ত ফাইল ছাপা পড়ে থাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং সচেতন জনগণের ভিতর তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

ইতিমধ্যেই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সচিব ও সাবেক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র নাথ বিভিন্ন প্রশাসনিক তদবির এবং অপচেষ্টা চালিয়ে তদন্তকে ধামাচাপা দিয়ে রেখেছেন। এও অভিযোগ ওঠে, একই অফিসে একই পদে থেকে দুর্নীতির নতুন ছক আঁকছেন এই কর্মকর্তা।
বিষয়টি স্মার্ট বাংলাদেশের অদম্য অগ্রযাত্রার সাথে চরমভাবে সাংঘর্ষিক। ইতিমধ্যেই তিনি দুর্নীতির অনেক আলামত নষ্ট করেছেন বলে গণমাধ্যমে খবর এসেছে।

এ বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধারা অতি দ্রুত তদন্ত কার্য সম্পাদন করে দায়ীকে যথাযথ শাস্তি প্রদানের মাধ্যম দিয়ে জাতির গুরুত্বপূর্ণ এই প্রতিষ্ঠানকে দূষণমুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন। অন্যথায় বৃহত্তর কর্মসূচি দিয়ে এই শিক্ষা বোর্ড ঘেরাও, অনশন সহ তীব্র আন্দোলনের প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তারা।

সেই সাথে যারা এই কর্মকান্ডে এযাবত বাধার সৃষ্টি করেছে, তাদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার জন্য জোর প্রতিবাদ জানিয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা।

বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার মাহফুজুর রহমানের নেতৃত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধকালীন এফ এফ কমান্ডার নুরুদ্দিন, এফ এফ রাজা মিয়া, মোজাফফর আহমদ, মুনসুরুর রহমান, দেবপ্রসাদ, রেজাউল করিম কুসুম, বিএলএফ সুযশময় চৌধুরী, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম মহাসচিব মহসিন কাজী, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা শাহাদাত নবী খোকা, মহানগর আওয়ামী লীগ নেত্রী হাসিনা আক্তার টুনু, যুবলীগের মহানগর সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিন হেলাল। প্রজন্ম চট্টগ্রামের প্রধান নির্বাহী চৌধুরী জসিমুল হক, সাংবাদিক ও প্রকাশক জসীম উদ্দিন, বাপা নেতা ইমতিয়াজ আহমেদ প্রমূখ।

চাটগাঁ নিউজ/এসআইএস

Scroll to Top