চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : উপকূলের দিকে ক্রমশ ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় চট্টগ্রাম বন্দরে ‘অ্যালার্ট-৩ জারি করা হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ থেকে পণ্য ওঠানো-নামানো ও খালাসের কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বন্দরের জেটিতে অবস্থানরত সব জাহাজকে গভীর সাগরে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে বলা হয়েছে।
শুধুমাত্র কনটেইনার পরিবহন ছাড়া বন্দরের সবধরনের অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জেটিতে পণ্য খালাসে নিয়োজিত সরঞ্জামগুলোর ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, বহির্নোঙরে অবস্থানরত জাহাজগুলোকেও গভীর সমুদ্রে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে বহির্নোঙরে পণ্য খালাস পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। প্রায় শতাধিক জাহাজ গভীর সমুদ্রে চলে যাওয়ায় বন্দর সীমানা এখন জাহাজশূন্য বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক।
ঘূর্ণিঝড় রেমালের সম্ভাব্য আঘাতের আশঙ্কায় ছয় নম্বর বিপৎসংকেত জারির পর শনিবার (২৫ মে) রাতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এসব পদক্ষেপ নিয়েছে। রোববার (২৬ মে) বেলা ১১টায় বন্দরে জরুরি সভা আহ্বান করা হয়েছে।
বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘সিগন্যাল-৬ জারির পর বন্দরেও আমরা অ্যালার্ট-৩ জারি করেছি। সাধারণত সংকেত ছয় কিংবা এর ওপরে গেলে আমরা বন্দরে বিপৎসংকেত জারি করি। জেটিতে জাহাজ যেগুলো ছিল, সবগুলোকে সাগরে পাঠিয়ে জেটি জাহাজশূন্য করা হচ্ছে। জেটিতে লোডিং-আনলোডিং বন্ধ আছে। ইয়ার্ড থেকে কনটেইনার মুভ আপাতত চলছে। আমরা বলেছি, আঘাতের আভাস পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জেটি এলাকা খালি করে দিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বহির্নোঙর থেকেও সব মাদার ভ্যাসেল গভীর সমুদ্রে পাঠানো হচ্ছে। এখন আমরা বন্দরের ইক্যুইপমেন্টগুলো সুরক্ষার ব্যবস্থা করছি। জাহাজ চলাচল পুরোপুরি বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সাগর বিক্ষুব্ধ আছে। কর্ণফুলী নদীতে লাইটারেজ জাহাজ চলাচল ও ঘাটে পণ্য খালাস পুরোপুরি বন্ধ আছে। মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলো নদীতে অবস্থান করছে। সাগরে অবস্থানরত নৌকা-ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।
এদিকে, বন্দর চ্যানেলের সব লাইটার জাহাজ শাহ আমানত সেতুর উজানে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক।
চাটগাঁ নিউজ/এসএ