নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রামে হামলার শিকার হয়ে চিকিৎসাধীন থাকা বিএনপি নেতা নূর আলম মারা গেছেন। শনিবার (২ নভেম্বর) সকালে নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে ডবলমুরিং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী মো. রফিক আহমেদ বলেন, নূর আলমকে হামলা পরবর্তী মামলা দায়ের হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন দ্রুত পাওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। হামলাকারীরা স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মী বলে জানতে পেরেছি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ অক্টোবর রাতে দক্ষিণ আগ্রাবাদ ওয়ার্ড এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সৃষ্ট বিরোধে স্থানীয় বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ বাঁধে। এতে বাস্তুহারা ইউনিট কমিটির বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও ২৭নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা নূর আলম গুরুতর আহত হন। পরবর্তীতে তাকে নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে চারদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ শনিবার সকালে তিনি মারা যান।
তবে বিএনপি নেতা নূর আলমকে হামলার ঘটনা নিয়ে থানা প্রশাসন, স্থানীয় পর্যায় ও পরিবারের মধ্যে বিপরীতমূখী অবস্থান দেখা যাচ্ছে। পুলিশ বলছে, হামলাকারীরা স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মী। গ্রুপিং হামলার শিকার হয়েছেন নূর আলম। যুবদলের নেতাদের সাথে আধিপত্য বিস্তার ও নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নূর আলমের সাথে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল বলে জানা গেছে।
নিহত বিএনপির নেতার বোন জানান, দোকানের মালামাল লুটে বাঁধা দিয়েছিলেন তার ভাই। এতে রাতের আঁধারে মাথায় আঘাত করেন ২০ জন আওয়ামী সন্ত্রাস। তবে তারা নব্য বিএনপি সাজার চেষ্টা করছে। ভোগ দখলের প্রতিবাদ করায় পরিকল্পিতভাবে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে তাকে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে। হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।
তবে স্থানীয় একটি সূত্রের দাবি, হামলাকারীরা আওয়ামী লীগের কেউ নয়। নিহত বিএনপি নেতার বোনের বক্তব্যের সূত্র ধরে সূত্রটি জানান, সংঘর্ষ বেঁধেছে দোকানের মালমাল চুরি নিয়ে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে এলাকায় আওয়ামী লীগের কেউ তো দোকানের মালমাল লুট বা আধিপত্য বিস্তারে নেই।
চাটগাঁ নিউজ/উজ্জ্বল/জেএইচ