চাটগাঁ নিউজ ডেস্কঃ চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় রায়হান উদ্দিন নামে সদ্যবিবাহিত এক যুবক নিহত হয়েছেন। মাত্রই শুক্রবার পারিবারিকভাবে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এই যুবক। এর মধ্যেই প্রাণঘাতী লড়ি কেড়ে নিলো এই তরতাজা যুবকের প্রাণ।
রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সীতাকুণ্ড থানার ডিসি পার্কের সামনে ঘটে ভয়াবহ এই দুর্ঘটনা। বেপরোয়া লড়ির ধাক্কা লেগে মোটরসাইকেল চালানো অবস্থায় মুহূর্তেই প্রাণ হারান রায়হান। এ সময় রক্তাক্ত হন বাইকের পেছনে থাকা রায়হানের সহকর্মী মবিনুল ইসলাম (২৮)।
এই ঘটনায় চমেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরুল আলম আশেক চাটগাঁ নিউজকে জানান, সড়কে লরির সঙ্গে ধাক্কা লেগে রায়হানের হেলমেট উড়ে যায়। মাথায় আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। আহত মবিনুলের বুকের হাড় ও হাতের আঙুল ভেঙে গেছে। নাকেও জখম হয়েছে। হাসপাতালের ২ নম্বর ওয়ার্ডে তাঁর চিকিৎসা চলছে।
জানা যায়, হাটহাজারী উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের বাথুয়া এলাকার মৃত নাজিম উদ্দিনের ছেলে রায়হান। তিনি পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম বিভাগের প্রথম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন। এর পাশাপাশি তিনি নগরের কাঠগড়ের এসএপিএল কনটেইনার ডিপোতে একটি বিদেশি বায়িং হাউসের কোয়ালিটি এসিউরেন্স ইন্সপেক্টর ছিলেন। সহকর্মী মবিনুলকে সঙ্গে নিয়ে কর্মস্থল থেকে ফেরার পথেই দুর্ঘটনায় পড়েন তিনি।
স্ত্রী সানজিদার সঙ্গে শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করেন তিনি। আকদ অনুষ্ঠানের কথা জানিয়ে তিনি সেদিন ফেসবুকে পোস্টও করেন। জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করার একদিন যেতেই তার জীবনটাই কেড়ে নিলো ঘাতক লড়ি। সানজিদার আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে চট্টগ্রাম মেডিকেলের পরিবেশ। সেখানে বিলাপ করে বুক চাপড়ে বলতে থাকেন, “আমার এখনো হাতে মেহেদিও লাগানো হয়নি, আমার জামাই কই?”
এদিকে রায়হানের দুর্ঘটনার খবর পেয়েই চমেক হাসপাতালে ছুটে যান তার বন্ধু, সহপাঠী, স্বজনরা। সাংবাদিক রিমন সাখাওয়াত বলেন, গত শুক্রবার তার আকদ অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। একসঙ্গে আমাদের কত আড্ডা, কত স্মৃতি। এ মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না। কথা ছিল ঈদের পর তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান হবে। নিমিষেই সব শেষ হয়ে গেল।
চাটগাঁ নিউজ/এসবিএন