নিজস্ব প্রতিবেদক: মলম পার্টির অন্যতম সক্রিয় সদস্য আব্দুস সাত্তার (৬৩) ও মো ইসমাঈল (৩৩ )কে আটক করা হয়। এই পেশায় দীর্ঘ ২০ বছরের অভিজ্ঞতা তাঁর। আয়ুবর্ধক বা যৌন দুর্বলতা কাটাবার ওষুধের নামে সুকৌশলে চেতনানাশক ওষুধের মাধ্যমে মানুষকে অজ্ঞান করে সর্বস্ব হাতিয়ে নেয়।
মঙ্গলবার (সেপ্টেম্বর ৫) সকালে গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পিবিআই। এসময় চক্রের বাকি সদস্যদেরকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানায় চট্টগ্রাম পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার।
সম্প্রতি পিবিআইয়ের জালে ধরা পড়িবার পর সিপ্লাসকে এমন স্বীকারোক্তি দেই অজ্ঞান পার্টির এই বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্য। শুধু আব্দুস সাত্তার নয়, এই কাজে জড়িত আছে তাঁর একাধিক সহযোগী। আর মলম পার্টির এরকম বেশ কিছু চক্র চট্টগ্রামে সক্রিয় আছে।
ভুক্তভোগী জানায়, ঘটনার দিন আগস্টের ৩১ তারিখ নগরীর নিউ মার্কেট থেকে ভাটিয়ারী যাওয়ার উদ্দেশ্যে ৪ নং বাসে ওঠেন তিনি। এসময় তাঁর অজান্তেই অজ্ঞান পার্টির ৪/৫ সদস্য বাসের মধ্যেই কৌশলে ঘিরে ধরে তাকে। নানা প্রলোভন দেখিয়ে ভিকটিমকে খাওয়ায় দেয় চেতনানাশক সেই বিশেষ ওষুধ। যা খেয়ে মুহুর্তেই অজ্ঞান হয়ে যান তিনি।
এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরের ২৮ তারিখ সীতাকুণ্ডে মলম পার্টির কবলে পড়ে প্রাণ হারিয়েছিলো আবু ছৈয়দ নামে এক ব্যক্তি। এই ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের পরই মূলত অভিযানে নামে পিবিআই। সেই অভিযানের প্রেক্ষিতে জানুয়ারীর ১ তারিখ নগরীর পাহাড়তলি এবং হালিশহর এলাকা থেকে মামলার ৩ আসামীকে গ্রেফতার করেছিলো পিবিআই। এরপর সেপ্টেম্বরের ৪ তারিখ এই দুই আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের থেকে ১৩ টি মোবাইল ফোনসহ অজ্ঞান কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন আলামত জব্দ করা হয়।
অজ্ঞান পার্টি-মলম পার্টি এবং ছিনতাইকারীদের জ্বালায় অতিষ্ঠ নগরবাসী। এই ধরণের মলম পার্টির খপ্পরে পড়ে প্রতিনিয়ত সর্বস্ব হারাচ্ছে সাধারণ মানুষ। তাই রাস্তাঘাটে কিংবা গণপরিবহনে চলাচলের সময় চোঁখ-কান-মুখ খুলা রেখে সচেতন ও সতর্ক থাকার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।