চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: চট্টগ্রামের পাইকারি বাজারে দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজের সরবরাহ শুরু হওয়ায় আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের দামও কমেছে। এছাড়া চট্টগ্রামে এসে পৌছেছে চীন ও পাকিস্তান থেকে আমদানি করা পেয়াজ।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বরের) সকালে নগরীর খাতুনগঞ্জে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় সব দোকানেই পেঁয়াজের সরবরাহ হয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এক সপ্তাহের মধ্যেই পেঁয়াজের বাজার স্বাভাবিক হবে। আজ বাজারে আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ ১২০ থেকে ১২৫ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। আর দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০/৮০ টাকা কেজি দরে।
সম্প্রতি, ভারত থেকে আমদানি বন্ধের ঘোষণায় হঠাৎ করে দেশের বাজারে অস্থির হয়ে ওঠে পেঁয়াজের দাম। সরবরাহ ও মজুত স্বাভাবিক থাকলেও হঠাৎ অসাধু সিন্ডিকেটের কারণে পেঁয়াজের দাম একদিনের ব্যবধানে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বেড়ে যায়। পরে পেঁয়াজের দামের লাগাম টানতে দেশজুড়ে অভিযানে নামে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত ও ভোক্তা অধিদপ্তর।
পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কমলেও এখনো খুচরা পর্যায়ে পিয়াজের দাম কমেনি। এদিকে পিয়াজের দাম সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল পণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখতে ডিসেম্বরের ১৩ তারিখ সকালে খাতুনগন্জ ট্রেড এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশনের ব্যবসায়ীদের সাথে এক মতবিনিময় সভা করেছেন বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের এক প্রতিনিধি দল।
সভায় বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সদস্য সওদাগর মোস্তাফিজুর রহমান ও মোঃ হাফিজুর রহমান বলেন, “পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনা করেছি। তারা আশ্বস্ত করেছেন যে, তারা পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক রাখতে কাজ করবেন। আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছি যেন তারা তদারকি অব্যাহত রাখে।”
পাইকারি বাজারে যেরকম পেঁয়াজের দাম কমেছে সেভাবে খুচরা পর্যায়েও পিযাজের দাম স্বাভাবিক রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তদারকি অব্যাহত রাখবে এমনটাই চাওয়া সকলের।