সিপ্লাস ডেস্ক: চট্টগ্রামে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজার আয়োজনকে কেন্দ্র করে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় তিনটি মামলা করা হয়েছে। বুধবার সকালে পুলিশ বাদী হয়ে নগরীর কোতোয়ালি থানায় দুটি ও খুলশী থানায় একটি মামলা করে।
দুই মামলার প্রত্যেকটিতে জামায়াত-শিবিরের ৬৫ জনের নামে এবং অজ্ঞাতপরিচয় ২০০ থেকে ২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার পুলিশের সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের সংঘর্ষের ঘটনায় দুটি মামলা হয়। মামলা দুটির মধ্যে একটি বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) ধারা এবং আরেকটিতে দণ্ডবিধি আইনের ১৪৩, ৩৩২, ৩৩৩, ৩৫৩, ১৮৬, ১৮৯ ধারা উল্লেখ করা হয়েছে। সংঘর্ষের পরই ৪০ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
বুধবার দুই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হলে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকালে আসরের নামাজের পর নগরীর জমিয়তুল ফালাহ জামে মসজিদ মাঠে গায়েবানা জানাজার আয়োজন করে চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতে ইসলামী। আসরের নামাজের আগে জমিয়তুল ফালাহ জামে মসজিদ ঘিরে জামায়াত-শিবির কর্মী ও সাঈদীর সমর্থকরা জড়ো হয়; কিন্তু আসরের নামাজের আগে পুলিশ জমিয়তুল ফালাহ মাঠে প্রবেশের গেট বন্ধ করে দেয়। জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা আসরের নামাজের আগে জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে প্রবেশের চেষ্টা করেন। এতে পুলিশ বাধা দিলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
এ সময় পুলিশের ধাওয়া খেয়ে জামায়াত-শিবির কর্মীদের একটি অংশ দামপাড়া পুলিশ লাইন্সে সিএমপি সদর দপ্তরে এবং পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। ধাওয়া করার সময় পুলিশের লাঠিচার্জে জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের কয়েকজন এবং ইট-পাটকেল নিক্ষেপে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন।
এদিকে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় নগরীর খুলশী থানায় আরও একটি মামলা হয়েছে। এ মামলায় ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক রুবেল হাওলাদার যুগান্তরকে বলেন, মঙ্গলবার পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় দুই মামলা করা হয়েছে। দুই মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে চালান দেওয়া হয়েছে।