নিজস্ব প্রতিবেদক: নগরের গণপরিবহনে ভাড়া নৈরাজ্য ও যাত্রী হয়রানি চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির চট্টগ্রাম মহানগরী শাখার নেতারা।
তারা বলছেন, দৈনন্দিন নানান প্রয়োজনে যাতায়াতের ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম মহানগরীর যাত্রীসাধারণ অস্বাভাবিক ভাড়া নৈরাজ্য ও পদে পদে হয়রারির শিকার হচ্ছের।
নগরীর বেশিরভাগ রুটে চলাচলকারী বাস, মিনিবাস, হিউমান হলার, টেম্পু পারমিটের শর্ত লংঘন করে অধিক মুনাফার লোভে নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী পুরো পথে চলাচলের পরিবর্তে অর্ধেক পথে চলাচল করে যাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে পুরো পথের ভাড়া আদায় করছে।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, রুট পারমিট অনুযায়ী ১০ নম্বর রুটের বাস পতেঙ্গা থেকে কালুরঘাট যাওয়ার কথা থাকলেও বিকালে ইপিজেডে কারখানা ছুটির পরে ইপিজেড গেইট থেকে আগ্রাবাদ ৪০ টাকা ভাড়া নিয়ে যাত্রীদের আগ্রাবাদ নামিয়ে দেয়।
একই বাস ইপিজেডের যাত্রী আগ্রাবাদে নামিয়ে আগ্রাবাদ থেকে আবার বহদ্দারহাটের যাত্রী ওঠায়। আগ্রাবাদ থেকে বহদ্দারহাট ৪০ টাকা হারে যাত্রী বোঝাই করে বহদ্দারহাটে নামিয়ে দেয়। বহদ্দারহাট থেকে কালুরঘাট আবারো ২০ টাকা ভাড়ায় যাত্রী বোঝাই করে।
পতেঙ্গা থেকে কালুরঘাটের ভাড়া ৫৫ টাকা। এই পথে বাসগুলো ভেঙ্গে ভেঙ্গে ১০০ টাকা ভাড়া আদায় করে। দিগুণ ভাড়া আদায়ের জন্য যাত্রীদের পথে পথে কয়েক দফা উঠানো-নামানোর নৈরাজ্যের কারণে যানজট ও জনজট বাড়লেও কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমলে নিচ্ছে না। ফলে শ্রমজীবী-কর্মজীবী, খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের লোকজন চরম দুর্ভোগে পড়েছে। অসহায় যাত্রীরা জানেন না এর সমাধান কোথায়?
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি চট্টগ্রাম মহানগরী শাখার এক সভায় যাত্রী সাধারণের সাথে মতবিনিময়ে এমন নৈরাজ্যের কথা তুলে ধরা হয়।
সংগঠনের আহ্বায়ক আব্দুল মান্নান খানের সভাপতিত্বে ওআর নিজাম রোডস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এস এম নাজের হোসাইন, মানবাধিকার সংগঠক অ্যাডভোকেট সেলিম চৌধুরী, প্রধান আলোচক বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী।
আরো বক্তব্য দেন লায়ন এম এ হোসেন বাদল, লায়ন এ এম মুন্না চৌধুরী, মোসাদ্দেকুর রহমান চৌধুরী ফয়সাল, মোহাম্মদ আব্দুর রহিম, লায়ন এম এ জলিল প্রমুখ।