চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : চট্টগ্রামে সাদা পোশাকে বেশিরভাগ থানায় কার্যক্রম সীমিত আকারে শুরু হয়েছে। তবে থানাগুলোতে এখনো যোগদান করেনি অনেক পুলিশ সদস্য। এছাড়া যেসব থানা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত সেগুলোর কার্যক্রম এখনো বন্ধ রয়েছে।
শুক্রবার (৯ আগষ্ট) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ ও জেলা পুলিশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এসব জানা গেছে।
চট্টগ্রাম মহানগরী এলাকায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অধীনে ১৬টি ও জেলার বিভিন্ন উপজেলাগুলোতে জেলা পুলিশের অধীন ১৭টি থানা রয়েছে। এর মধ্যে নগরীতে তিনটি থানা ও জেলায় ১৬টি থানার কার্যক্রম আংশিক শুরুর তথ্য পাওয়া গেছে।
এর আগে ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে চলে যান শেখ হাসিনা। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বিকালে নগরী ও জেলার বেশ কয়েকটি থানায়, ফাঁড়ি, ক্যাম্প ও পুলিশ বক্সে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগসহ অস্ত্র-গোলাবারুদ লুট হয়। থানায় অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের পাশাপাশি থানার সামনে রাখা পুলিশের যানবাহনও আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
এর মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরের থানাগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সিএমপির কোতোয়ালি, পতেঙ্গা, ইপিজেড, বন্দর, পাহাড়তলী, আকবরশাহ ও সদরঘাট থানায় অগ্নিসংযোগ করা হয়। অন্যান্য থানাগুলোতে ভাঙচুর করা হয়।
এরপর থেকে নগরী ও জেলার থানাগুলোর কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। থানা, ফাঁড়ি এবং ক্যাম্পগুলো পুলিশশূন্য রয়েছে। পুলিশ সদস্যরাও নিজেদের নিরাপত্তাসহ ১১ দফা দাবি নিয়ে কর্মবিরতি পালন করা শুরু করে।
এতে চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটে। এ সময় পুলিশের ঊর্ধ্বতনরা চেষ্টা করেও অধস্তন পুলিশ সদস্যদের নিজ নিজ কর্মস্থলে ফেরাতে পারেননি। এসবের পর গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার থেকে কিছু থানাসহ পুলিশের বিভিন্ন দপ্তরের আংশিক কার্যক্রম শুরু হয়।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) আব্দুল মান্নান মিয়া বলেন, আমরা দুয়েকটি বাদে সব থানার কার্যক্রম শুরু করেছি। যেসব থানা বন্ধ আছে সেগুলোও চালুর চেষ্টা করছি। তবে আপাতত থানাগুলোতে সীমিত আকারে কার্যক্রম চলছে। আমরা নাগরিকদের সকল ধরনের সেবা প্রদানের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ধীরে ধীরে সব থানার কার্যক্রম স্বাভাবিক হবে।
চাটগাঁ নিউজ/এআইকে