ফরহাদ সিকদার: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬ টি আসনে প্রার্থীদের মধ্য প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সোমবার ( ১৮ ডিসেম্বর) সকালে দুই রিটার্নিং অফিসার বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম এবং জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের কার্যালয়ে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।
সোমবার দুপুর ১টা পর্যন্ত রিটার্নিং অফিসার কার্যলায় থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ইতোমধ্যে সবগুলো আসনেই প্রতীক বরাদ্দ সম্পন্ন হয়েছে।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) আসনে প্রার্থী রয়েছেন ৭ জন, চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে ৮ জন, চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনে ৮ জন, চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে ৬ জন, চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে ৭ জন, চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে ৫ জন, চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনে ৬ জন, চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনে ১০ জন, চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী) আসনে ৭ জন, চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-হালিশহর) আসনে ৯ জন, চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে ৭ জন, চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে ৮ জন, চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা) আসনে ৭ জন, চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) ৮ জন, চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে ৭ জন, চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে প্রার্থীদের ভোটের মাঠে লড়াই শুরু হয়েছে। প্রতীক পাওয়ার পরপরই শুরু হবে প্রার্থীদের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা। নগরী ও জেলার প্রতিটি অলিগলি, রাজপথ আজ থেকে উৎসবে মুখর হবে। ইতিমধ্যে কিছু কিছু আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যকার ভোটযুদ্ধ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। সুযোগ পেলেই একে অন্যের বিরুদ্ধে দিয়েছিলেন নির্বাচন বিধিমালা ভঙ্গের অভিযোগ। বেশকিছু প্রার্থীকে এর জবাব দিতে দৌড়াতে হয়েছিলো আদালতেও।
প্রতীক বরাদ্দের আগে প্রার্থী-সমর্থকরা মতবিনিময় ও উঠান বৈঠকের মাধ্যমে নির্বাচন-পূর্ব প্রস্তুতি চালাচ্ছিলেন। কিন্তু প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে তারা ব্যানার-পোস্টার, লিফলেট, হ্যান্ডবিল ও মাইকিং করে প্রচারণা শুরু করতে পারবেন। ফলে প্রচারণার পরিধি অনেক বেড়ে যাবে। প্রতীক বরাদ্দের ফলে প্রার্থীদের মধ্যেও নতুন করে উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে। তফসিল ঘোষণার পর থেকে আজকের দিনটির জন্য আপেক্ষায় ছিলেন আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলীয় জোটের শরিক দলগুলো ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। শুধু প্রার্থী নন, তাদের কর্মী–সমর্থকরাও প্রতীক্ষায় ছিলেন। সেই প্রতীক্ষার ক্ষণ শেষ হলো আজ।