সিপ্লাস ডেস্ক: পাকিস্তানের উপকূলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে আরব সাগরে সৃষ্ট হওয়া ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়। এরই মধ্যে সিন্ধু সরকার ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে উপকূলীয় এলাকা থেকে নিরাপদ স্থানে নাগরিকদের সরিয়ে নিচ্ছে। খবর জিও নিউজের।
পাকিস্তার সরকার ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা দেখে সিন্ধু উপকূল থেকে নাগরিকসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বর্তমানে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় করাচি থেকে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার দক্ষিণে, থাটা থেকে ৫৮০ কিলোমিটার দক্ষিণে ও ওরমারার ৭১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছে।
সিন্ধুর মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ আলি শাহ স্থানীয় মন্ত্রী নাসির শাহ ও সিন্ধুর মুখ্য সচিব সোহেল রাজপুতের সঙ্গে শাহ বন্দর এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
পাকিস্তানের হায়দরাবাদের কমিশনার বলেছেন, বেদিনে জিরো পয়েন্টে অবস্থিত বেগারা মেমন থেকে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে। তাছাড়া শাহ বন্দর দ্বীপ থেকে অন্তত দুই হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
শাহ বন্দর, জাটি ও কেটি বন্দর গ্রাম থেকে মোট ৫০ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হবে।
মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে বিপর্যয় ১৫ জুন সিন্ধুর উপকূলে আঘাত হানবে। তবে এর তীব্রতা কমবে ১৭ থেকে ১৮ জুনের মধ্যে।
এদিকে ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, অত্যাধিক প্রবল ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় ক্রমেই আরও শক্তিশালী হচ্ছে। আগামী বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) দুপুর নাগাদ ঝড়টি তীব্র শক্তিতে ভারতের গুজরাট ও পাকিস্তানের করাচি উপকূলে আছড়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের নামকরণ করেছে বাংলাদেশ। মূলত বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড়গুলোর নামকরণ করে এ অঞ্চলের ১৩টি দেশ। প্যানেল অন ট্রপিকাল সাইক্লোনের কাছে একের পর এক ঘূর্ণিঝড়ের নামের প্রস্তাবিত তালিকা জমা পড়ে। সেখান থেকেই বেছে নেওয়া হয় পরবর্তী ঝড়ের নাম।
ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের পরে যে ঝড়টি আঘাত হানবে, তার নাম তেজ। এই নাম প্রস্তাব করেছে ভারত। তেজের পর আসবে ঘূর্ণিঝড় হামুন (ইরান), মিধালি (মালদ্বীপ), মিগজাউম (মিয়ানমার), রিমাল (ওমান), আসনা (পাকিস্তান), ডানা (কাতার), ফিনজাল (সৌদি আরব), শক্তি (শ্রীলঙ্কা), মনথা (থাইল্যান্ড), সেনিয়ার (সংযুক্ত আরব আমিরাত), দিতওয়াহ (ইয়েমেন) প্রভৃতি।