সিপ্লাস ডেস্ক: ” গাছ খেকোদের হাত হতে গাছ রক্ষা করতে কঠোর হতে হবে ” জেলা জজ। (২ আগস্ট) চট্টগ্রাম জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর এর উদ্যোগে সপ্তাহ ব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন উপলক্ষে এক আলোচনা সভা জেলা পিপি শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
মাননীয় অতিথি বৃন্দ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত ভবনের সম্মুখে ফলজ গাছ রোপনের মধ্য দিয়ে সপ্তাহ ব্যাপী বৃক্ষ রোপন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ জনাব ড. আজিজ আহমেদ ভূঁঞা, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম কামরুন নাহার রুমি এবং বিভাগীয় বন কর্মকর্তা চট্টগ্রাম এস এম কায়সার, চট্টগাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ মিন্টু ।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা ও দায়রা জজ জনাব আজিজ আহমেদ ভূঁঞা বলেন ” সৃষ্টির প্রথম থেকে সকল প্রাণীদের এবং মনুষ্য জাতির কল্যাণে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে আসছে। প্রাকৃতিক ঔষধ ও বৈজ্ঞানিক ভাবে আধুনিক চিকিৎসার ঔষুধ তৈরিতে বৃক্ষের উপস্থিতি প্রায় ৬০ শতাংশ ভেষজ ও ঔষুধি গাছ হেকেমী চিকিৎসার প্রধান উপকরণ হিসেবে রাজষিক চিকিৎসায় ও ব্যবহার হতো। কিছু সংখ্যক দুষ্কৃতিকারী অর্থের লোভে বৃক্ষ নিধনের মহোৎসব মেতে উঠেছে এরা দেশ ও জাতির শত্রু, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ও সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে কোনো অবস্থাতে অপরাধীদের ছাড় বা মার্জনা করা যাবেনা, এই সকল গাছ খেকদের আইনের আওতায় এনে আইন মোতাবেক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে, গাছ খেকো দের হাত থেকে বৃক্ষকে রক্ষা করতে সংশ্লিষ্ট সকল আইন প্রয়োগকরী সংস্থা কে কঠোর হওয়ার পরামর্শ দেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম কামরুন নাহার রুমি বলেন – ” মাননীয় প্রধামন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশে ফলজ বনোজ ও ঔষুধি গাছ রোপণ করে সবুজের পরিবেশের আবরণ তৈরি করার আহ্বান জানিয়েছেন তা আমাদের অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গাছের বিকল্প নাই, প্রাকৃতিক ভাবে অক্সিজেন যোগান দিয়ে মানব দেহের চাহিদা পূরণ করে , এই বৃক্ষ’ই আমাদের জীবন। অতএব সর্বত্র বৃক্ষ রোপনের কার্যক্রমকে সম্মিলিত ভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে এবং এইটা কে সামাজিক রূপ দিতে হবে। বিশেষ অতিথির চট্টগ্রাম উত্তর অঞ্চলের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জনাব এস এম কায়সার বলেন ” বন ও গাছ রক্ষায় জনগণের সহায়তা ছাড়া আমাদের একার পক্ষে কোনো ভাবেই সম্ভব নয়, বন উজাড় করে এক শ্রেণীর মানুষ কিলার কর্তন করে বসতি স্থাপনের অপচেষ্টায় লিপ্ত, তাদের বিরুদ্ধে সকল মহল কে সচেতন করবার আহ্বান জানানো হয়, সভাপতির বক্তব্যে জেলা পিপি অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেন ” আমাদের রাষ্ট্রীয় অর্পিত বিচার বিভাগীয় দায়িত্ব পালনের পর সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি হাতে নিয়েছি, আমরা মনে করি এই সমাজের অভিভাবক রায় বৃক্ষ রোপন কর্মসূচিকে এগিয়ে নিয়ে গিয়ে মাননীয় প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বান কে বাস্তবায়ন করতে পারবো, প্রতিটি নাগরিক ২টি করে বৃক্ষ রোপণ করলেই কয়েক বছর পর দেশের চেহারা পরিবর্তন হয়ে যাবে , দেশ সবুজে সমাহার হবে।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট শামসুদ্দিন সিদ্দিকী টিপু, মো: মহসীন, তপন কুমার দাশ, আজাহারুল হক, নূরজাহান ইসলাম মুন্না, মোহাম্মদুন্নবী শিমুল , ফৌজিয়া আফরোজ, জাহেদুল ইসলাম, হিমাদ্রী শেখর, বিবেকানন্দ, আফজাল হোসেন, হাদি হাম্মাদুল্লাহ সহ প্রমূখ।