আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সংবিধান ভঙ্গের দায়ে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে। দেশটির একটি আদালত এই রায় দিয়েছে।
এর আগে গত সপ্তাহে ব্যাংককের সাংবিধানিক আদালত প্রোগ্রেসিভ মুভ ফরোয়ার্ড পার্টিকে নিষিদ্ধ করে। সেই সাথে দলের নেতাদের ১০ বছরের জন্য রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। যদিও গত সংসদ নির্বাচনে এই দল সবচেয়ে বেশি আসনে জয় লাভ করেছিল। আদালতের এই রায়ের ফলে দেশটিতে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার সৃষ্টি করেছে।
আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন একজন দণ্ডপ্রাপ্ত আইনজীবীকে সরকারে নিয়োগ দিয়ে নৈতিকতা ভঙ্গ করেছেন। ওই আদালতের ৯ বিচারকের মধ্যে ৫ জন স্রেথাকে সরানোর পক্ষে রায় দেন। তারা মন্তব্য করেন, স্রেথা জেনেশুনে এমন ব্যক্তিকে নিয়োগ দিয়েছেন।
নিয়োগকৃত ওই আইনজীবীর নাম পিচিট চুয়েনবান। তিনি থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার ঘনিষ্ঠ ছিলেন। ওই আইনজীবী ২০০৮ সালে এক মামলায় সুপ্রিম কোর্টের কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ফলে তাকে ৬ মাসে কারাবরণও করতে হয়। ওই মামলায় জড়িত ছিলো থাকসিন সিনাওয়াত্রার নামও।
থাইল্যান্ডের বর্তমানে ক্ষমতাসীন জোট নতুন প্রধানমন্ত্রী বেছে নিবেন। যিনি সংসদের ৫০০ সদস্যদের মধ্যের ভোটে তিনি নির্বাচিত হবেন।
চাটগাঁ নিউজ/এআইকে