চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি দশা থেকে মুক্তি পাওয়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ২৩ নাবিকসহ কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় পৌছেছে।
আজ (১৩ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এটি বিকেল কুতুবদিয়ায় পৌছেছে বলে জানায় এমভি আব্দুল্লাহর মালিক প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিং লিমিটেড।
আগামীকাল মঙ্গলবার (১৪ মে চট্টগ্রােমর সদরঘাট জেটিতে তাদের বরণ করবেন স্বজনরা। সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়ার ৬৪ দিন পর স্বজনের সঙ্গে মিলিত হবেন ২৩ নাবিক।
এদিকে ২৩ নাবিকের পরিবারে বইছে উৎসবের আমেজ।তাদের বরণ করে নেয়ার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলো।
জাহাজটির মালিকানা প্রতিষ্ঠান কেএসআরএমের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম জানান, জাহাজ সন্ধ্যায় কুতুবদিয়ায় নোঙ্গর করেছে। কিছু চুনাপাথর আনলোড করে আগামীকাল চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশে রওনা হবে জাহাজটি। তিনি বলেন, আমরা যতটুকু জানি জাহাজে থাকা সব নাবিক সুস্থ রয়েছেন।তাদের লাইটার জাহাজে করে আবদুল্লাহ জাহাজ থেকে বন্দরের সদরঘাট কেএসআরএম জেটিতে নিয়ে আসা হবে। কুতুবদিয়ায় নোঙর করার কারণ হলো এত বড় জাহাজ বন্দর জেটিতে ভেড়ানোর সুযোগ নেই। জাহাজটিতে ৫৬ হাজার ৩৯১ মেট্রিক টন চুনাপাথর রয়েছে। এতে জাহাজটির ড্রাফট (পানির নিচের অংশের দৈর্ঘ্য) বেড়ে হয়েছে সাড়ে ১২ মিটার, যা চারতলার সমান। ফলে বন্দর জেটিতে ভেড়ানো সম্ভব হবে না।’
জাহাজে থাকা জেনারেল স্টুয়ার্ড নুরউদ্দিন জানান, আজ সোমবার দুপুরে বাংলাদেশের জলসীমায় এসে পৌঁছেছি আমরা। বিকাল ৫টার দিকে কুতুবদিয়ায় এসেছি। কিছুক্ষণ আগে ঘাটে নোঙর করেছি’।
সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে অপহরণের দীর্ঘ এক মাস পর গত ১৩ এপ্রিল সোমালিয়ার স্থানীয় সময় রাত ১২টা এবং বাংলাদেশ সময় রাত ৩টায় মুক্তি পায় এমভি আবদুল্লাহ জাহাজসহ ২৩ নাবিক।
এর আগে জলদস্যুদের মুক্তিপণের টাকা পৌঁছানো হয় একটি বিশেষ এয়ারক্রাফটের মাধ্যমে। এ এয়ারক্রাফট থেকে দস্যুদের নির্ধারিত স্থানে তিনটি ব্যাগ-ভর্তি ডলার পৌঁছানো হয়। মুক্তির পর জাহাজটি দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
গত ২১ এপ্রিল বিকেল সাড়ে ৪টা নাগাদ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই আল হারমিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছে জাহাজটি।
চাটগাঁ নিউজ/এসআইএস