সিপ্লাস ডেস্ক: বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন (বিএইচআরএফ) আয়োজিত “কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন, রাজনৈতিক দল ও মিডিয়ার ভূমিকা এবং আমাদের করণীয়” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ বলেছেন, “রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ও সদিচ্ছা ছাড়া কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। শুধু আইনের কঠোরতা দিয়ে কিশোর গ্যাং সংকট উত্তরণ করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। এর নেপথ্যে মদদ-দাতাদের চিহ্নিত করে তাদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “সাইবার ওয়ার্ল্ডেও কিশোর গ্যাং এর সরব উপস্থিতি লক্ষ্যণীয়। খেলার মাঠ ও বিনোদনের যায়গা কেড়ে নিয়েছে ছোট্ট একটা এন্ড্রয়েড মোবাইল স্ক্রিন। যা আমাদের সন্তানদের অকর্মা, অসুস্থ মানসিক বিকারগ্রস্ত করে তুলছে।”
সেমিনারে বক্তারা কিশোর গ্যাং এর রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা সম্পূর্ণ রূপে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান। বিশেষ করে আগামী নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোকে অঙ্গীকার করতে হবে তারা কোন শিশু কিশোরদের রাজনৈতিক কর্মকান্ডে ব্যবহার করবে না।
সেমিনারে কিশোর অপরাধ বন্ধ করতে ১৫ দফা সুপারিশমালা পেশ করা হয়। সুপারিশমালায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের মতো “জাতীয় শিশু কিশোর অধিকার সূরক্ষা কমিশন” গঠনের দাবী করা হয়।
সেমিনারে বিএইচআরএফ চেয়ারপার্সন মানবাধিকার নেত্রী এডভোকেট এলিনা খান, বিএইচআরএফ মহাসচিব অ্যাডভোকেট জিয়া হাবীব আহসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুষদের শিক্ষক ও সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিসের পরিচালক প্রফেসর হাফিজুর রহমান কার্জন, ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়াম্যান ও এটিএন বাংলার নির্বাহী পরিচালক প্রফেসর হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরন, সিনিয়র ক্রাইমস রিপোর্টার পারভেজ আহমেদ, বিএইচআরএফ ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি রোটারিয়ান এম রাকীব সরদার, সহ সাধারণ সম্পাদক সাদাত আর খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।