ঈদগাঁও প্রতিনিধি নানা নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলছে কক্সবাজার ৩ আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটযুদ্ধ।গণসংযোগ, উঠান বৈঠক, প্রচারপত্র বিতরণ, পথসভা করে বস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা।
কক্সবাজার সদর, রামু এবং ঈদগাঁও উপজেলা নিয়ে গঠিত পর্যটন, বঙ্গোপসাগরের সুনীল অর্থনীতির অমিত সম্ভাবনা,লবণশিল্প, চিংড়ি ও বিপুল মৎস্য সম্পদনির্ভর কক্সবাজারের এই আসনটির পরিচিতি,গুরুত্ব ও মর্যাদা বাংলাদেশ ও বহির্বিশ্বে অত্যন্ত বেশি। যে কারণে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসনটির উপর স্পটলাইটের ফোকাসও বেশ শক্তিশালী।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল (নৌকা), জাতীয় পার্টি’র এড. মোহাম্মদ তারেক (লাঙল), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির আবদুল আউয়াল মামুন (হাতঘড়ি) এবং দলীয় প্রধানের সবুজ সঙ্কেত নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামীলীগ থেকে মনোয়নবঞ্চিত ব্যারিস্টার মিজান সাঈদ (ঈগল) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে সরব ভোট প্রার্থনা করে উত্তাপ ছড়ানোর চেষ্টা করলেও নৌকা ও ঈগল প্রতীকের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। নৌকা ও ঈগল প্রতীকের উভয় প্রার্থীই মূলত আওয়ামীলীগ আদর্শের প্রার্থী হওয়ার কারণে তৃণপর্যায়ে দলের অভ্যন্তরে নেতাকর্মীদের মাঝে দ্বিধাবিভক্তি ও বিভাজন প্রকট আকার ধারণ করেছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে নৌকার পক্ষে যেভাবে আওয়ামীলীগ ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নেমেছিল এবার সেই ঐক্য ও সংহতি অনেকাটা অনুপস্থিত।
সরেজমিনে দেখা যায়, নৌকার ভোট দূর্গে প্রচন্ড শক্তি ও সমর্থন নিয়ে বাগড়া দিয়েছে ঈগল প্রতীকের অপেক্ষাকৃত নবীন ও তরুণ প্রার্থী ব্যারিস্টার মীজান সাঈদ। তিনি মনোয়নপত্র দাখিল থেকে শুরু করে নানা বাধাবিপত্তিকে লড়াকু মানসিকতায় সাহস ও ধৈর্যের সাথে মোকাবেলা করে ইতোমধ্যেই সাধারণ ভোটারদের মন জয় করে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। তৃণমূল আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যেও বড় একটি অংশ সরাসরি ঈগল প্রতীকের পক্ষে জনেজনে ভোটপ্রার্থনায় মাঠ চষে বেড়াতে দেখা যাচ্ছে। যা অনেকে নৌকার পালে ঈগলের ছোবল বলে মনে করছেন।
অন্যদিকে রাজনীতির মাঠে ঝানু ও কৌশলী প্রার্থী হিসেবে বিগত দুই মেয়াদের সাংসদ সাইমুম সওয়ার কমল ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন নিয়ে বেশ সুবিধাজনক অবস্থায় থাকলেও দিনদিন নৌকার সেই অবস্থা বদলাতে শুরু করেছে।