রামু প্রতিনিধিঃ কক্সবাজারের রামুতে ছুরিকাঘাতে কৃষকলীগ নেতা নাজেম মওলা সাহেদকে হত্যার ঘটনায় ৪৮ ঘণ্টার মাথায় ২জনকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন রামু থানার অফিসার ইনচার্জ আবু তাহের। আটকৃতরা হলেন কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড কমলাপাড়া এলাকার কাদের মিস্ত্রির ছেলে আলা উদ্দিন ও একই এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে ওসমান।
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, আটককৃত আসামীরা ঘটনার পুর্ব মুহুর্তে রামুর কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড বধুপাড়া ব্রিজের মাথায় অবস্থান করছিলেন। উক্ত ঘটনাস্থলে জনৈক ফেরদৌস প্রকাশ ফিরোর সাথে আসামীদের কথা কাটাকাটি হয়। এ বিষয়টি ফেরদৌস নিহত শাহেদকে কল করে জানান। পরে বধুপাড়া ব্রিজের মাথায় ভিকটিম উপস্থিত হয়ে আসামীদের উক্ত ঘটনা সংক্রান্তে জিজ্ঞাসা করলে আসামীদের সাথে ভিকটিমের কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে আসামীরা তাদের সাথে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে ভিকটিম নাজেম মাওলা শাহেদ প্রকাশ ছায়াকে এলোপাথাড়ি আঘাত করে রক্তাক্ত করে। এসময়ে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য কক্সবাজারে জেলা সদর হাসপাতাল নেওয়ার পথে মৃত্যু হয় তার।
ওসি আরও জানান, ঘটনার পর পরই রামু থানার যৌথ পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে আসামীদের গ্রেফতারের জন্য বিশেষ গ্রেফতারী অভিযান পরিচালনা শুরু করে। গ্রেফতারী অভিযান পরিচালনা কালে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহারে মাধ্যমে আসামীদের মোবাইল ফোনের লোকেশন ট্র্যাক করে আসামীদের অবস্থান শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে রামু থানার অফিসার ইনচার্জ আবু তাহের দেওয়ানের নেতৃত্বে গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির আইসি সাইফুল আলম ও সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান পরিচালনা করে আসামীদের আটক করে। আটককৃত আসামীরা উক্ত ঘটনা সংঘঠিত করেছে মর্মে স্বীকার করেন বলে জানান তিনি।
এই হত্যাকান্ডের প্রধান আসামী পেঠান সওদাগরের পুত্র দেলোয়ার পলাতক রয়েছে এবং তাকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলমান রয়েছে বলে জানান তিনি।
চাটগাঁ নিউজ/এসবিএন