কক্সবাজার প্রতিনিধি: সাগরপথে মিয়ানমারে পাচারের চেষ্টাকালে কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ সড়কের দরিয়ানগর এলাকায় জ্বালানি তেল অকটেন ভর্তি ৬৯ টি ড্রাম জব্দ করেছে র্যাব। সেই সাথে পাচারকারী ৬ জন চোরাকারবারিকে আটক ও তাদের পাচার কাজে ব্যবহৃত দুইটি জিপগাড়ী জব্দ করা হয়েছে।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) বিকালে মেরিন ড্রাইভ সড়কের কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের দরিয়ানগর ব্রিজ এলাকায় এ অভিযান চালানো হয় বলে জানান র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচএ সাজ্জাদ হোসেন।
আটককৃতরা হলেন, উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের সোনার পাড়ার মৃত আব্দুস ছালামের ছেলে মো. আয়াজ ওরফে রিয়াজ (২২), মো. হাসেমের ছেলে মো. এহছান উল্লাহ ওরফে রহমত উল্লাহ (২৩) ও মৃত আব্দুল মোতালেবের ছেলে মো. আলী আকবর (৩৮), একই ইউনিয়নের উত্তর সোনার পাড়ার মো. আব্দুল্লাহ এর ছেলে মো. জসিম উদ্দিন (২০) ও পশ্চিম সোনার পাড়ার আহম্মদ কবিরের ছেলে মো. সোহেল (১৯) এবং রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের হিমছড়ি এলাকার মো. করিমের ছেলে মো. দেলোয়ার (২৪)।
র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচএ সাজ্জাদ হোসেন চাটগাঁ নিউজ কে জানান, সাগরপথে উপকূলের বিভিন্ন পয়েন্ট ব্যবহার করে সংঘবদ্ধ চোরাকারবারিদের একটি দল দীর্ঘদিন ধরে জ্বালানি তেল অকটেন পাচার করে আসছিলো। শুক্রবার বিকালে গোপন খবরের ভিত্তিতে র্যাবের একটি দল মেরিন ড্রাইভ সড়কের দরিয়ানগর ব্রিজের উপর অস্থায়ী তল্লাশী চৌকি স্থাপন করে। এক পর্যায়ে টেকনাফমুখি দুইটি জিপগাড়ী সেখানে পৌঁছালে র্যাব সদস্যরা থামার জন্য নির্দেশ দেয়। এতে র্যাব সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে গাড়ী দুইটিতে থাকা সন্দেহজনক ৭/৮ জন লোক দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। এসময় ধাওয়া দিয়ে ৬ জনকে আটক করা সম্ভব হলেও অন্যরা পালিয়ে যায়।
আটকদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে বিজিবির এ কর্মকর্তা বলেন, “উখিয়া উপজেলার একটি পেট্রোল পাম্প থেকে উদ্ধার করা এসব জ্বালানি তেল সংগ্রহ করা হয়েছিল। এসব তেল বেশী মূল্যে বিক্রি করে সাগরপথে মিয়ানমার পাচারের জন্য নিয়ে যাচ্ছিল।
উল্লেখ্য, জিপগাড়ী দুইটিতে থাকা জ্বালানি তেল অকটেন ভর্তি ৬৯ টি ড্রাম পাওয়া যায়। যেখানে ২ হাজার ৯০০ লিটার পরিমাণ অকটেন পাওয়া যায়। আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা করা হয়েছে বলে জানান সাজ্জাদ হোসেন।
চাটগাঁ নিউজ/এসবিএন