ওমান প্রবাসীদের উপর হামলায় ‘বাংলাদেশ সোশ্যাল ক্লাব’ ওমানের নিন্দা  

চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া ওমান প্রবাসীদের উপর বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী হামলা, বাড়িঘর ভাংচুর, অগ্নিসংযোগের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ  জানিয়েছে  বাংলাদেশ সোশ্যাল ক্লাব, ওমান । সোশ্যাল ক্লাবের কার্যকরী পরিষদের সভায় এই নিন্দা প্রস্তাব গৃহীত হয়।

ক্লাবের কার্যকরী সদস্যরা বলেন – বাংলাদেশ সোশ্যাল ক্লাব ওমান, এটি ওমান সরকার কর্তৃক অনুমোদিত একটি সামাজিক সংগঠন । এই সংগঠনটি সবসময় ওমান প্রবাসী বাংলাদেশীদের স্বার্থ সংরক্ষণে কাজ করে আসছে। তাই বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ওমান প্রবাসীদের উপর যে কোন রকমের অন্যায়, অত্যাচার, নির্যাতন, নিপীড়ন ও সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতে সরকার এবং প্রশাসনের নিকট বিনীতভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।

বিগত বছর গুলোতে বিভিন্ন সময়ে সংঘটিত নির্যাতনে নিপীড়নের শিকার হতে হয়েছে অনেক নিরীহ সাধারণ প্রবাসীদের । রাউজানে সন্ত্রাসীদের হামলার হাত থেকে রক্ষা পায়নি বাংলাদেশে সোশ্যাল ক্লাবের  সম্মানিত চেয়ারম্যান সিরাজুল হক (সিআইপি)। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি ওমানের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ইয়াসিন চৌধুরী সিআইপির রাউজানের গ্রামের বাড়িতে ভাংচুর এবং অগ্নিসংযোগ করা হয়।

২০১৭ সালে সন্ত্রাসী হামলার  শিকার হন সিরাজুল হক এবং ২০২৩ সালেও তার গ্রামেও বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। কি কারনে তার উপর সন্ত্রাসী হামলা এবং কেন তার বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়, এ পর্যন্ত কোন রকমের কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি।

ইতোপূর্বে ২০১৬ সালে রাঙ্গুনিয়া থেকে আসার সময় রাউজানে ওমান প্রবাসী বিশিষ্ট সমাজকর্মী জসিম উদ্দিনের উপর হামলা হয়। বিগত বছরে আরো এক ওমান প্রবাসী মোহাম্মদ মুসাকে রাউজানে হত্যা করা হয় । রাজনৈতিক পট পরিবর্তনও প্রবাসীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারেনি। প্রবাসীদের উপর হামলা নির্যাতনের ধারাবাহিকতা এখনো অব্যাহত আছে। কিছুদিন আগেও এক ওমান প্রবাসী ব্যবসায়ী জাহাংগীর আলমের বাড়িঘর ভাংচুর করা হয়েছে। অতি সম্প্রতি ওমানের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ইয়াসিন চৌধুরী সিআইপির রাউজানের গ্রামের বাড়িতে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করা হয় । যার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সংগঠনটি।

তাদের মতে, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বর্তমান সরকারের উপর প্রবাসীদের আস্থা ছিল অনেক। প্রবাসীরা মনে করেছিল দল নিরপেক্ষ এ সরকারের আমলে প্রবাসীরা সামাজিক নিরাপত্তা পাবেন। কিন্তু সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনা প্রবাসীদের মর্মাহত করে এবং  প্রবাসীরা নিরাপত্তা সংকটে ভুগছেন। যার প্রভাব পড়বে রেমিটেন্সের ওপরেও।

এই সরকার  প্রতিষ্ঠা হওয়ার দুই মাস পরেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না। তাই প্রবাসীদের মাঝে আরো শংকা বেড়ে চলেছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রবাসীদের উপর হামলা মামলা বন্ধে সরকারের প্রতি জোর দাবী জানানো যাচ্ছে। আমরা চাই আইন নিজের গতিতে চলুক । তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের প্রচলিত  আইনের আওতায় আনা হোক।

প্রবাসীদের মধ্যেও যদি কেউ অপরাধ বা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকে তাদেরকেও যথাযথ আইনের আওতায় আনা হোক । দেশে সত্যিকারের আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হোক । স্বপ্নের বাংলাদেশ সকলের জন্য নিরাপদ আবাস হোক । প্রবাসী হিসেবে এই আমাদের একমাত্র প্রত্যাশা ।

চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ

Scroll to Top