চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : চট্টগ্রামে ব্যাংকের লকার থেকে ‘স্বর্ণালঙ্কার হারানোর’ অভিযোগ তোলা গ্রাহকের বিরুদ্ধেই এবার থানায় অভিযোগ করেছে ইসলামী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
বুধবার ব্যাংকটির চকবাজার শাখার লকার ইনচার্জ মো. ইউনুস চকবাজার থানায় রোকেয়া আক্তার বারী নামে সেই গ্রাহকের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
চকবাজার থানার ওসি ওয়ালী উদ্দীন আকবর বলেন, ‘ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাদের গ্রাহক রোকেয়া আক্তার বারীর বিরুদ্ধে একটি জিডি করেছেন। সেটির বিষয়ে আমরা যথাযথ প্রক্রিয়া অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
জিডিতে উল্লেখ করা হয়, ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে লিখিত কোনো অভিযোগ না দিয়ে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্বর্ণালঙ্কার গায়েবের ‘বিভ্রান্তিকর তথ্য’ দিয়ে ব্যাংকের সুনাম ক্ষুন্ন করা হয়েছে।
ইসলামী ব্যাংক চট্টগ্রামের চকবাজার শাখার লকারে রাখা ১৫০ স্বর্ণালঙ্কার গায়েবের অভিযোগ তোলেন রোকেয়া আক্তার বারী। গত ২৯ মে বিষয়টি তিনি টের পাওয়ার কথা বললেও জানাজানি হয় ১ জুন। এ ঘটনায় ব্যাংকের চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সোমবার (২ জুন) রাতে চকবাজার থানায় অভিযোগ করেন রোকেয়া আক্তার।
ওই কর্মকর্তারা হলেন- ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুল মাওলা, কোম্পানি সেক্রেটারি জে কিউ এম হাবিব উল্লাহ, চকবাজার শাখার ব্যবস্থাপক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম শফিকুল মাওলা চৌধুরী ও লকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইউনুস।
তবে বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশনের তফসিলভুক্ত হওয়ায় অভিযোগটি দুদকে পাঠিয়ে দেওয়ার কথা জানায় চকবাজার থানা কর্তৃপক্ষ।
অভিযোগে রোকেয়া বারী বলেন, ব্যাংক থেকে তার ৬০ ভরি ওজনের ৪০টি হাতের চুড়ি, ২৫ ভরির চার সেট জরোয়া, ১০ ভরি ওজনের গলার সেট, ২৮ ভরি ওজনের সাতটি গলার চেইন, ১৫ ভরি ওজনের ২৫টি আংটি ও ১১ ভরি ওজনের ৩০ জোড়া কানের দুল গায়েব হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে এর আগে ইসলামী ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট (এসভিপি) ও চকবাজার শাখার ব্যবস্থাপক এসএম শফিকুল মাওলা চৌধুরী বলেছিলেন, ‘অভিযোগকারী নারী ২০০২ সাল থেকে আমাদের গ্রাহক। স্বর্ণ মিসিংয়ের বিষয়টি তিনি মৌখিকভাবে আমাদের জানিয়েছেন, তবে লিখিতভাবে কিছু বলেননি। আমরা মৌখিক অভিযোগটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি এবং অভিযোগের সত্যতা জানতে অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গ্রাহককে বলেছি বিষয়টি তারা যেন খোঁজ নেন, আমরা আমাদের পক্ষ থেকে খোঁজ নিচ্ছি।’
ব্যাংকে লকারের নিরাপত্তার বিষয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘লকারের মূল ফটকের চাবি থাকে শুধু তাদের নির্ধারিত কর্মকর্তার কাছে। লকারের মূল চাবি গ্রাহক ছাড়া অন্য কারো কাছে থাকার কোনো সুযোগ নেই। এমনকি গ্রাহকের কোনো মনোনীত প্রতিনিধিও লকার খুলতে পারেন না। ওই গ্রাহকের কী পরিমাণ স্বর্ণালংকার রাখা ছিল সে বিষয়েও জানার সুযোগ থাকে না বলেও জানান শফিকুল মাওলা।
চাটগাঁ নিউজ/এসএ