একুশে পদক পাচ্ছেন চট্টগ্রামের নীরদ বরণ ও ইউসুফ

চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: এবার রাষ্ট্রের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদক ‘একুশে পদক’ সম্মাননার জন্য মনোনীত হয়েছেন চট্টগ্রামের দুই বিশিষ্ট ব্যক্তিসহ ১৪ জন। বিশিষ্ট নাগরিক ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চট্টগ্রামে যে দুজন বিশিষ্টজন মরণোত্তর পদক পাচ্ছেন, তারা হলেন শিল্পকলায় (সংগীত) উস্তাদ নীরদ বরণ বড়ুয়া এবং সমাজসেবায় মোহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরী।

ভাষা আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে চালু করা একুশে পদক সরকার প্রতিবছর বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে দিয়ে থাকে।

যেখানে এবার স্বীকৃতিস্বরূপ একুশে পদক পাচ্ছেন ১৪ জন বিশিষ্ট নাগরিক ও একটি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে ছয়জন মরণোত্তর এ সম্মাননা পাচ্ছেন। যার দুজনই চট্টগ্রামের। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে একুশে পদকের জন্য মনোনীতদের নাম ঘোষণা করেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

জানা গেছে— ওস্তাদ নীরদ বরণ বড়ুয়া একাধারে সংগীত শিল্পী, সংগীত গুরু, রচয়িতা, সুরকার ও নাট্যকার ছিলেন। ২০০১ সালে তিনি মারা যান। চট্টগ্রাম ভিত্তিক সুর-সপ্তক সংগীত বিদ্যাপীঠ তার হাতে গড়া।

অন্যদিকে মোহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরী চট্টগ্রামের জনপ্রিয় আঞ্চলিক পত্রিকা দৈনিক পূর্বকোণের প্রতিষ্ঠাতা। পাশাপাশি তিনি ডেইরি ও পোল্ট্রি শিল্পের বিকাশেও অনন্য ভূমিকা রাখেন। ২০০৭ সালের ৯ সেপ্টেম্বর তিনি সৌদি আরবে মৃত্যুবরণ করেন।

একুশে পদক-২০২৫ এর জন্য মনোনীত ব্যক্তিরা হলেন – আজিজুর রহমান (মরণোত্তর)—শিল্পকলা (চলচ্চিত্র); উস্তাদ নীরদ বরণ বড়ুয়া (মরণোত্তর)—শিল্পকলা (সংগীত); ফেরদৌস আরা—শিল্পকলা (সংগীত); নাসির আলী মামুন—শিল্পকলা (আলোকচিত্র); রোকেয়া সুলতানা—শিল্পকলা (চিত্রকলা); মাহফুজ উল্লা (মরণোত্তর)—সাংবাদিকতা; মাহমুদুর রহমান—সাংবাদিকতা ও মানবাধিকার; ড. শহীদুল আলম—সংস্কৃতি ও শিক্ষা; ড. নিয়াজ জামান—শিক্ষা; মেহেদী হাসান খান—বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি; মোহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরী (মরণোত্তর)—সমাজসেবা; হেলাল হাফিজ (মরণোত্তর)—ভাষা ও সাহিত্য; শহীদুল জহির (মো. শহীদুল হক) (মরণোত্তর)—ভাষা ও সাহিত্য; মঈদুল হাসান—গবেষণা।

পাশাপাশি সংগঠন হিসেবে এই পদক পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবলের জাতীয় নারী দল।

জানা গেছে, পদকপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ৩৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, একটি সম্মাননাপত্র ও ৪ লাখ টাকার চেক দেওয়া হয়।

দেশের বিশিষ্ট সাহিত্যিক, শিল্পী, শিক্ষাবিদ, ভাষাসৈনিক, ভাষাবিদ, গবেষক, সাংবাদিক, অর্থনীতিবিদ, দারিদ্র বিমোচনে অবদানকারী, সামাজিক ব্যক্তিত্ব ও প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় পর্যায়ে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৭৬ সাল থেকে একুশে পদক দেওয়া হচ্ছে। একুশে পদক পাওয়ার যোগ্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে বাছাই করে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়।

চাটগাঁ নিউজ/এমকেএন/জেএইচ

Scroll to Top