পড়া হয়েছে: ২১
চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনীর আচরণবিধি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। গত ১৫ ই নভেম্বর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার মধ্য দিয়ে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের জন্য নির্বাচনী বিধি কার্যকর হয়েছে।
আচরণবিধিসমূহ
- কোন প্রার্থী বা তার পক্ষ থেকে অন্য কোন ব্যক্তি নির্বাচন পূর্ব সময়ে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানে প্রকাশ্যে বা গোপনে কোন প্রকার চাঁদা বা অনুদান প্রদান করতে বা প্রদানের অঙ্গীকার করতে পারবেন না।
- নির্বাচন পূর্ব সময়ে কোন সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সরকারি বা আধা-সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে কোন প্রকার অনুদান ঘোষণা বা বরাদ্দ প্রদান বা অর্থ অবমুক্ত করতে পারবেন না।
- সরকারি ডাক-বাংলো, রেস্ট হাউজ, সার্কিট হাউজ বা কোন সরকারি কার্যালয়কে কোন দল বা প্রার্থীর পক্ষে বা বিপক্ষে প্রচারের স্থান হিসাবে ব্যবহার করা যাবে না।
- কোন নির্বাচনি এলাকায় একই সঙ্গে তিনটির বেশি মাইক্রোফোন/লাউডস্পীকার ব্যবহার করা যাবে না।
- মাইক ব্যবহার- দুপুর ২.০০ হতে রাত ৮.০০ টার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
- নির্বাচনী সভার দিন, সময় ও স্থান সম্পর্কে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে লিখিত অনুমতি গ্রহণ করতে হবে।
- প্রস্তাবিত সভার কমপক্ষে ২৪ ঘন্টা আগে স্থান এবং সময় সম্পর্কে স্থানীয় পুলিশ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে অনুমতি নিতে হবে।
- জনগণের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করতে পারে এমন কোন সড়কে জনসভা কিংবা কোন পথসভা করতে পারবেন না।
- নির্বাচনী প্রচারণাকালে ব্যক্তিগত চরিত্র হনন করে বক্তব্য প্রদান বা কোন ধরনের তিক্ত বা (উস্কানিমূলক বা মানহানিকর) কিংবা লিঙ্গ, সাম্প্রদায়িকতা বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হয় এমন কোন বক্তব্য প্রদান করতে পারবেন না।
- কোন ধর্মীয় উপাসনালয়ে কোন প্রকার নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারবেন না।
- প্রচারণার ক্ষেত্রে সকল প্রার্থী সমান অধিকার পাইবে। তবে কোন প্রার্থী প্রতিপক্ষের সভা, শোভাযাত্রা এবং অন্যান্য প্রচার অভিযান পন্ড বা তাতে বাধা প্রদান করতে পারবেন না।
- পৌর এলাকায় অবস্থিত দালান, দেওয়াল, গাছ, বেড়া, বিদ্যুৎ ও টেলিফোনের খুটি বা অন্য কোন দন্ডায়মান বস্তুতে কোন প্রার্থী বা তার পক্ষে কোন প্রকার পোস্টার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল লাগাতে পারবেন না।
- সরকারী বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের স্থাপনা বা কোন প্রকার যানবাহনে পোস্টার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল লাগাতে পারবেন না।
- কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পোস্টার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল ইত্যাদির উপর অন্য কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পোস্টার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল ইত্যাদি লাগানো যাবে না বা কোন প্রকার ক্ষতিসাধন/বিনষ্ট করা যাবে না।
- রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থী শুধু তার প্রতীক ও নিজের ছবি, বর্তমান দলীয় প্রধানের ছবি পোস্টারে ছাপাতে পারবেন তাছাড়া অন্য কোন ছবি বা প্রতীক ছাপাতে পারবেন না। ছবির আয়তন (৬০×৪৫) সে.মি. এর বেশি হতে পারবে না।
- কোন প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীর নির্বাচনী প্রতীকের সাইজ, দৈর্ঘ্য, প্রস্থ বা উচ্চতা তিন মিটারের বেশি হতে পারবে না।
- পোস্টার ও ব্যানার সাদা-কালো হবে এবং পোস্টারের এর আয়তন অনধিক (৬০×৪৫) সেন্টিমিটার ও ব্যানার এর আয়তন অনধিক (৩৪১) মিটার হতে হবে।
- কোন প্রার্থী বা তার পক্ষে কোন বাস, ট্রাক, মোটরসাইকেল, নৌ-যান, ট্রেন কিংবা অন্য কোন যান্ত্রিক যানবাহন সহকারে মিছিল বা মশাল মিছিল বা শোডাউন করতে পারবেন না।
- নির্বাচনী প্রচারণায় কোন গেইট বা তোরণ নির্মাণ করতে পারবেন না।
- নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ হিসাবে বিদ্যুতের সাহায্যে কোন প্রকার আলোকসজ্জা করতে পারবেন না।
- নির্বাচনী প্রচারণার জন্য প্রার্থীর ছবি বা প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণামূলক কোন বক্তব্য বা কোন শার্ট, জ্যাকেট, ফতুয়া ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারবেন না।
- নির্বাচনী ক্যাম্পে ভোটারগণকে কোন ধরনের কোমল পানীয় বা খাদ্য পরিবেশন বা উপঢৌকন প্রদান করিতে পারবেন না প্রতীক হিসাবে কোন জীবন্ত প্রানীর ছবি ব্যবহার করা যাবে না।
- নির্বাচনী প্রচারনার জন্য ৪০০ বর্গফুট এর অধিক স্থান নিয়ে কোন প্যান্ডেল তৈরী করতে পারবেন না।
- প্রতিটি ইউনিয়নে সর্বোচ্চ একটি এবং প্রতিটি পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশন এলাকার প্রতি ওয়ার্ডে একটির বেশি নির্বাচনি ক্যাম্প স্থাপন করতে পারবেন না। সরকারি কর্মসূচির সঙ্গে নির্বাচনী কর্মসূচি বা কর্মকান্ড যোগ করতে পারবেন না।
- কোন প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী আগে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদে সভাপতি বা সদস্য হিসাবে নির্বাচিত বা মনোনীত হয়ে থাকলে উক্ত প্রতিষ্ঠানের কোন সভায় সভাপতিত্ব বা অংশগ্রহণ করতে পারবেন না অথবা উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোন কাজে জড়িত হবেন না।
- কোন প্রার্থী বা তার পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তি বিধিমালার কোন বিধান লঙ্ঘন করলে অনধিক ছয় মাসের কারাদন্ড অথবা অনধিক পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদন্ডে অথবা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হবেন।
- কোন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল নির্বাচন-পূর্ব সময়ে এই বিধিমালার কোন বিধান লঙ্ঘন করলে অনধিক পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদন্ডে দন্ডনীয় হবে।
উক্ত আচরণবিধি না মানলে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিবে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।