উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্রসহ গ্রেফতার ৫ সন্ত্রাসী

উখিয়া প্রতিনিধিঃ উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে সন্ত্রাসী নবী হোসেন গ্রুপের ৫ রোহিঙ্গা সদস্যকে গ্রেফতার করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন-১৪)। সেই সাথে আটক রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে বিদেশি ৫টি পিস্তল, ২টি দেশি বন্দুক ও ১৮টি গুলি উদ্ধার করা হয়।

রবিবার (২৮ এপ্রিল) ভোরে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-৯ ব্লকে এ অভিযান চালানো হয়। গ্রেফতার ব্যক্তিরা মিয়ানমারের মাদক চোরাচালানের অন্যতম সন্ত্রাসী গ্রুপ নবী হোসেন বাহিনীর সদস্য বলে জানা গেছে।

জানা যায়, গ্রেফতার রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা হলেন কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প ডি-৯ ব্লকের বাসিন্দা কবির আহম্মদের ছেলে মোহাম্মদ জোবায়ের (২২), সি-২ ব্লকের আবদুল জলিলের ছেলে দিল মোহাম্মদ (৩৫), সি-৭ ব্লকের আবদুস সালামের ছেলে মোহাম্মদ খলিল (৩৪), সি-২ ব্লকের মতিউর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ ইদ্রিছ (২৮) ও এ-৬ ব্লকের সাব্বির আহাম্মদের ছেলে মোহাম্মদুল্লাহ (২৫)।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে এপিবিএন-১৪ এর অধিনায়ক ও অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ ইকবাল চাটগাঁ নিউজকে জানান, রবিবার ভোররাতে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-৯ ব্লকের একটি আস্তানায় বসে ১০-১২ জন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী অপরাধ ও নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অহিদুর রহমানের নেতৃত্বে ইরানী পাহাড় পুলিশ ক্যাম্প কমান্ডার ও সহকারী পুলিশ সুপার অংশু কুমার দেবের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়।

একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ ধাওয়া করে পাঁচ সন্ত্রাসীকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতার ব্যক্তিরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পভিত্তিক একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠনের সক্রিয় সদস্য বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় হত্যা, অপহরণ, অস্ত্রসহ বিভিন্ন অপরাধের একাধিক মামলা রয়েছে।

এ বিষয়ে ইরানী পাহাড় পুলিশ ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার অংশু কুমার দেব জানান, ইরানী পাহাড়ের বিভিন্ন ব্লকে রাতভর অভিযান চালিয়ে সন্ত্রাসী মোহাম্মদ জোবায়েরসহ ৫জনকে আটক করা হয়েছে। জোবায়ের নবী হোসেন নিজেই জোবায়র গ্রুপ বলে পরিচয় দিয়ে থাকতেন। গোপন সংবাদের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে তাকে সহ ৫জনকে গ্রেফতার করা হয়।

নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক ক্যাম্পের কয়েকজন রোহিঙ্গা নেতা জানায়, গ্রেফতার হওয়া সবাই নবী হোসেন বাহিনীর সদস্য। নবী হোসেন মিয়ানমারের মাদক চোরাচালানের অন্যতম হোতা। কয়েক মাস ধরে নবী হোসেন আশ্রয়শিবির থেকে আত্মগোপন করে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সীমান্তে অবস্থান করছেন। দেড় বছর আগে কক্সবাজার-৩৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক নবী হোসেনকে ধরে দিতে ১০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল।

উখিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ শামীম হোসাইন জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৫জন আসামি থানায় হস্তান্তর করেছেন আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন। তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট মামলা করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। দুপুরে গ্রেফতার পাঁচজনকে উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

চাটগাঁ নিউজ/এসবিএন

Scroll to Top